মেথির প্রতিটি দানায় এতো গুণ? জানলে চমকে যাবেন আপনিও!

কালেভদ্রে রান্নায় ব্যবহার করা হয় মেথি। মেথির আসল স্বাদ কিছুটা তিতকুটে হলেও, সুঘ্রাণের জন্য সকলে বেশ পছন্দ করে এই উপাদানটি। মেথির ব্যবহার শুধু রান্না কিংবা চুলের যত্নে নয়, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রেও বিরাজমান সমানভাবে। মাত্র এক টেবিল চামচ মেথি থেকে পাওয়া যাবে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-বি৬ ও ফসফরাস। ভীষণ স্বাস্থ্যকর এই খাদ্য উপাদানটির কিছু দারুণ স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক এবার।

পিরিয়ডকালীন সমস্যা কমায়
মেথিতে থাকা আইসোফ্ল্যাভন (Isoflavones) ও ডাইয়োসজিনিন (Diosgenin) নামক কম্পাউন্ড দুটিতে এস্ট্রোজেনের মতো উপকারিতা রয়েছে। মেথির এই উপাদান দুইটি পিরিয়ড জনিত শারীরিক সমস্যা ও তলপেটের ব্যথা কমাতে কাজ করে। এছাড়া মুড সুইং এর ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে মেথি। পাশপাশি মেথিতে থাকা উচ্চমাত্রার আয়রন পিরিয়ডের সময়ে নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।

গলাব্যথা ভালো করে
এক চা চামচ মেথি পেস্টের সঙ্গে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেলে গলাব্যথা, কাশি ও ঠাণ্ডার সমস্তা দ্রুত কমে যায়। এছাড়া ঠাণ্ডা ও জ্বর পরবর্তি সময়ে দ্রুত সুস্থ হতে ও শরীরকে সুস্থ রাখতে মেথি দারুণ উপকারী।

কমায় অ্যাসিডিটির সমস্যা
হুট করেই খুব বুক জ্বালাপোড়া করছে কিংবা অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিয়েছে? তবে রান্নাঘরে লুকিয়ে থাকা মেথির খোঁজ করতে হবে দ্রুত। মেথিতে থাকা মিউকিলেজ পরিপাকতন্ত্র ও পাকস্থলীর উপর একটি স্তর তৈরি করে। যা অ্যাসিডিটির জ্বালাপোড়া ভাবকে কমিয়ে দেয়। তবে মেথি খাওয়ার আগে অবশ্যই জলে ভিজিয়ে রাখা লাগবে।

বাড়তি ওজন কমায়
অনেকেই হয়তো এই বিষয়ে জানেন না। ওজন কমাতে প্রাকৃতিক এই খাদ্য উপাদানটি বেশ উপকারী। সকালে খালি পেটে মেথি খাওয়ার ফলে ক্ষুধাভাব বেশ অনেকটা প্রশমিত হয়। ফলে বারবার ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না। কারণ মেথিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য আঁশ।

সুস্থ রাখে হৃদযন্ত্র
গ্যালাক্টোম্যানান (Galactomannan) নামক কম্পাউন্ড থাকে মেথিতে, যা হৃদযন্ত্রকে সচল রাখতে ও হৃদযন্ত্রের পেশীকে সুস্থ রাখতে অবদান রাখে। অন্যদিকে এতে থাকা সোডিয়াম ও পটাশিয়াম রক্তচাপের মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy