নিয়মিত সঙ্গম করলে মেনোপজ আসে দেরিতে, এমনটাই জানালো গবেষণা

নারীদের জীবনে বিভিন্ন পর্যায়ে শারীরিক ও মানসিক নানান পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে দুটি পরিবর্তনের সময় মারাত্মক প্রবল হয়ে ওঠে। এক বয়স’সন্ধি’কাল ও ঋ’তুনিবৃ’ত্তিকাল। একজন নারীর সাধারণত গড়ে ১২ বছরের পর থেকে ঋ’তুচ’ক্র শুরু হয়, আবার একটা সময়ের পর সেটা বন্ধও হয়ে যায়। ঋ’তুচ’ক্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময়কে মেনো’পজ বলা হয়।

এই মেনো’পজের সময় নারীদের বিভিন্ন সমস্যা শুরু হয়। আমাদের দেশের আবহওয়া অনুযায়ী একজন নারীর সাধারণত ৪৮ থেকে ৫৮ বছরের মধ্যে ঋ’তুচ’ক্র বন্ধ হয়ে যায়, সেই সময় মেনো’পজের সমস্যা তৈরি হয়।

মেনো’পজের প্রধান উপসর্গ হল অনিয়মিত পিরি’য়ড। এছাড়া কান মাথা ব্যথা করা, জয়েন্টে পেইন হওয়া, এইগুলো মেনো’পজের প্রধান উপসর্গ। মেনো’পজের ফলে ত্বক খারাপ হতে পারে। খুব মোটা বা অস্বাভাবিক রোগা হয়ে যাওয়া, মানসিক অবসাদ চলে আসা, এই সব মেনো’পজের জন্য হয়ে থাকে।

মেনো’পজের কারনে অনেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন। কারন অনেকেরই ধারনা পিরি’য়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে যৌ’বন হারিয়ে যায়। এই সময় হর’মোনের ক্ষরন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে মেয়েরা মেজাজ হাড়িয়ে ফেলেন।

মানসিক ভারসাম্য হারানোর সম্ভবনা থাকে। এই সময় পিরি’য়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে স্বাভাবিক ভাবে সন্তান ধারনের ক্ষমতা চলে যায়। সাধারণত ৪০ এর আশেপাশে মেনো’পজ দেখা যায়। এই সময় হর’মো’নাল পরিবর্তনের জন্য শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা যায়।

তবে রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্সের গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব মহিলারা নিয়মিত স’ঙ্গম করেন তাদের দেরিতে মেনো’পজ আসে। যারা সপ্তাহে একবার করে শারী’রিক মিল’নে লিপ্ত হন, তাদের মেনো’পজ পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা ২৮ শতাংশ বেশি।

যারা মাসে একবার স’ঙ্গমে লি’প্ত হন বা তারও কম লি’প্ত হন, তাদের ক্ষেত্রে মেনো’পজের সম্ভবনা অনেকটাই বেশি। তাই এই সমস্যাকে দূরে রাখতে আপনার সঙ্গীর সাথে থাকুন। নিয়মিত স’ঙ্গম করুন আর সুস্থ থাকুন।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy