স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আপনারা কি সুখী? জেনে নিন প্রতিবেদনটি পড়ে

একটা সম্পর্ককে সফল করাটা খুব সহজ নয়, তেমনই আবার একেবারে অসম্ভবও নয়। কিছু চিহ্ন দেখলেই সুখী দাম্পত্য চেনা যায়।

শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় অনীহা নেই, বরং আগ্রহ আছে
যাঁরা বহুদিন একসঙ্গে আছেন, তাঁদের শরীরিক সম্পর্কেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক পরিবর্তন আসে। একটা সময়ের পর রোজ যৌন সম্পর্ক হয় না, কিন্তু তাই বলে তাঁরা পরস্পরের কাছাকাছি আসা বন্ধ করেও দেন না কিন্তু! সফটওয়্যার প্রফেশনাল শালিনী ব্যানার্জি বলছেন, ‘‘হলিউডি ছবিতে দেখেছি, বাড়ি থেকে বেরনোর আগে পরস্পরকে চুম্বন করে নারী-পুরুষ। আমারও তেমনটা করতে খুব ভালো লাগে। মনে হয় বরের কাছাকাছি আছি। তবে অনেকেই এত সবের ধার ধারেন না।’’

আলাদা হবি থাকা সম্পর্কের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো
যে কোনও সুখী দম্পতি একে অপরের সঙ্গে অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটান, সেই সঙ্গে আবার নিজেদের পছন্দের কাজগুলো করতেও পিছুপা হন না।একে অপরের আগ্রহের বিষয়গুলোয় উৎসাহ জোগানো এবং সেই সঙ্গে নিজের জন্যও খানিকটা সময় আলাদা করে রাখাটা খুব প্রয়োজনীয়। হয়তো আপনার স্বামী বা বয়ফ্রেন্ড মিউজ়িক আর রান্নার ভক্ত, আপনার ভালো লাগে নাচ আর টেনিস— একদিক থেকে কিন্তু এটা ভালো। মনোবিদ সুতপা বসু বলছেন, ‘‘যাঁদের নানা বিষয়ে উৎসাহ থাকে, তাঁরা একে অপরকে নিয়েও আগ্রহটা বাঁচিয়ে রাখতে পারেন।’’

আপনারা পরস্পরের পাশে থাকেন
সুতপা বলছেন, ‘‘যে কোনও দাম্পত্যেই পরস্পরের দোষ-ত্রুটিগুলোকে মেনে নেওয়ার অভ্যেস তৈরি করতে হবে। কেউ পারফেক্ট হয় না, আপনিও নন।আপনার দোষ যদি অন্য মানুষটি মেনে নিয়ে থাকেন, তা হলে ওঁর ভুলচুক আপনাকেও মেনে নিতে হবে। ভালো-খারাপ সব কিছুই একসঙ্গে সামলাতে পারলে প্রমাণিত হয় যে, আপনারা ক্ষমাশীল এবং সম্পর্কটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী।’’ বড়ো কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একে-অপরের সঙ্গে আলোচনা করুন। এমন কিছু করবেন না, যাতে অন্যজন কোনওভাবে আহত হন। আপনার বা আপনাদের পুরো পরিবারের ভালোর জন্য যদি উনিও সর্বক্ষণ চিন্তা করেন, তা হলে নির্ভাবনায় থাকুন।

একে অন্যের পরিবারের প্রতি উষ্ণতা বজায় রাখেন
এমন হতেই পারে যে ওঁর মা বা পরিবারের কারও সঙ্গে আপনার মানসিকতায় মোটেই মেলে না, কিন্তু তাই বলে তাদের থেকে দূরে সরে যাওয়ার বোকামিটাও করবেন না। একে অপরের পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠাটাও সফল দাম্পত্যের অন্যতম প্রধান শর্ত। আপনার স্বামী বা বয়ফ্রেন্ডের যদি আপনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বনিবনা না হয়, তা হলেও তাঁকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বিয়েবাড়ি বা গেট-টুগেদারে নিয়ে যান। অপছন্দ হলেও একে অপরের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাটা জরুরি।

আর্থিক ব্যাপারে ভারসাম্য রক্ষা করে চলেন সবসময়
অনেকেই মনে করেন এটা অসম্ভব, কিন্তু সুখী দম্পতিরা আর্থিক ভারসাম্য বজায় রেখেই চলেন। সাধারণত উপার্জন, টাকা জমা ও খরচ বিষয়ে তাঁদের ধ্যানধারণা একইরকম হয়। পেশায় শিক্ষিকা শিবানী পাঠক বলছেন, ‘‘আমি টাকাপয়সা খরচ করতে ভালোবাসি। আমার জন্য পাত্র খোঁজা হচ্ছে, মা-বাবাকে বলেছি এমন কারও সঙ্গেই বিয়ে দিতে, যার বউ খরচ করলে কোনও সমস্যা হবে না। কোনও কিপটে লোকের সঙ্গে বিয়ে হলে সম্পর্কটাই টিকবে না।’’ সত্যিই টাকাপয়সার কারণে প্রচুর বিয়ে ভাঙে। বড়ো খরচ করার আগে পরস্পরকে জানিয়ে নিন।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy