ভালোবেসে নিভৃতে যতনে রাখাই যায়। কিন্তু একতরফা প্রেমের কোনো মানে আছে কি? কাছের মানুষকে মনের কথা বলতে পারলে তবেই না প্রেমের সার্থকতা। কিন্তু বলারও তো একটা ধরন আছে। সঠিক কথাও বেঠিকভাবে বললে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে। প্রেমের ক্ষেত্রে সাধারণ ৭টি ভুল করে থাকেন বেশিরভাগ পুরুষ। যেগুলোর কারণে সম্পর্কে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। থমকে দাঁড়ায় দুটি মনের একসঙ্গে পথচলা।
১) প্রেমে পড়লে ছেলেরা একটু বেশিই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ঘনঘন মেসেজ, ফোন করতে থাকেন। প্রেমিকার খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। এতে কিন্তু সম্পর্কের শুরুটাই খারাপ হয়ে যায়। প্রত্যেকটা মানুষের কিন্তুনিজস্ব জগৎ রয়েছে। তাকে সেটুকু ছেড়ে দিতে হয়।
২) কাউকে ভাল লাগতে শুরু করলেই ছেলেরা নিজের মতো করে সব পরিকল্পনা করে নেন। কিন্তু আপনি যেমনটা ভাবছেন তেমনটা তো সমস্ত ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। অন্যদিকের একই মত পোষণ নাই করতে পারেন। যাঁর প্রেমের পড়ছেন, তাঁর মনের কথা আগে মুখে স্পষ্টভাবে জানুন। তারপরই ভালবাসার সম্পর্ক নিয়ে নিশ্চিত হবেন।
৩) অনেকেই প্রেমের শুরু থেকেই বিয়ের কথা চিন্তা করতে শুরু করে দেন। এখানেই অনেকে ভুলটা করে বসেন। বর্তমান যুগে কিন্তু প্রেমের সম্পর্ক মানেই বিয়ে নয়। অনেকেই প্রেমের শুরুতে বিয়ের কথা ভাবতে চান না। নিজের ইচ্ছে কখনই সঙ্গীর উপর চাপিয়ে দেবেন না। এতে সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে।
৪) আবেগের একটা সম্পর্ক সবে শুরু হচ্ছে। এর মধ্যেই অনেকে সেই সম্পর্কের প্রচার করতে শুরু করে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এই সমস্যা বেশ গুরুতর। কারণ সম্পর্ক তেমন পোক্ত না হলে অনেকেই তা সকলকে জানাতে চান না।
৫) মানুষ নিজেকে জাহির করতে ভালোবাসে। বিশেষ করে প্রেমে পড়লে। উল্টো দিকের মানুষের কাছে নিজেকে বিশেষ হিসেবে তুলে ধরতে চায়। কিন্তু এমনটা করতে গিয়ে মানুষ নিজেকেই আরও খাটো করে থাকে। দেখনদারি মেয়েরা একদম পছন্দ করে না।
৬) কেবল ভালোবাসলেই হয় না, নিজের অধিকার সম্পর্কেও সচেতন হতে হয়। তবে অনেকক্ষেত্রে ছেলেরা প্রেমিকার সবকিছুতে নাক গলাতে শুরু করেন। তাঁর জীবনের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এখানেই সম্পর্ক শেষ হতে শুরু করে।
৭) সম্পর্কের খাতিরে প্রেয়সীর কাছে পুরুষরা অযৌক্তিক কিছু আবদারও করে বসে। কেউ কেউ তো শারিরিক সম্পর্কও করতে চায়। অথচ একবারও ভাবতে চায় না যে, এটি বিয়ের আগে মোটেও পছন্দ নয় সঙ্গীর। এমনটি হলে থমকে দাঁড়ায় দু’জনের পথচলা।