প্রত্যেকটি সম্পর্কই রহস্য ভালোবাসে। যেকোনো সম্পর্কেই রহস্যের গন্ধ থাকলে তা আলাদা মাত্রা পায়। আর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে রহস্য কখনো বয়ে আনে অশান্তির কালো মেঘ। আবার কখনো বা রহস্যের কারণেই একে অন্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন অনেক দম্পতি।
সস্পর্কে সুখী থাকতে চাইলে কোনো কিছু গোপন করা ঠিক না। এটা আমরা সবাই জানি কিন্তু কখনো কখনো হয়তো মানি না। মাঝে মাঝে না মানাই ভালো। সম্পর্কে কিছু কথা গোপন রাখাই ভালো। বিশেষ করে মেয়েদের কিছু কথা ছেলেদের ভুলেও বলা উচিত না। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই গোপন কথাগুলো-
১. অনেক সময়েই মেয়েদের অভিমান পুরোটাই থাকে অভিনয়। মেয়েরা মাঝে মাঝে অভিমানের অভিনয় করে তার প্রেমিক বা স্বামীর পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। তারা দেখতে চান তার অভিমানের মূল্য তার প্রেমিক বা স্বামীর কাছে কতটুকু। তাই আপনি যদি নিজের সঙ্গিনীর অভিমানকে অবহেলা করতে চান তবে ভুল করবেন।
২. মেয়েরা ভালোবাসা প্রকাশ করাটা অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন। আপনি অনেক চাপা বা লাজুক স্বভাবের হলেও নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করুন। সেটা যেভাবেই হোক। প্রশংসা করুন, উপহার দিন কিংবা সরাসরি তাকে বলুন আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন।
৩. মেয়েরা গিফট খুব বেশি পছন্দ করে থাকেন। যদি কোনোভাবেই নিজের সঙ্গিনীর অভিমান ভাঙাতে না পারেন, তবে তাকে গিফট করুন তার পছন্দের কোনো জিনিস। দেখবেন অভিমান খুব বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারবেন না তিনি।
৪. আপনার সঙ্গিনী যদি আপনাকে ফোন দিয়ে সবসময় আপনার খোঁজ খবর নেয়ার জন্য উদগ্রীব থাকেন এবং আপনি ফোন না ধরলে মন খারাপ করেন, তখন বুঝে নেবেন তিনি আপনাকে অনেক বেশিই ভালোবাসেন। তবে সন্দেহ আর কেয়ারের খোঁজ নেয়ার মধ্যে তফাৎটা সঙ্গিনীর কথা শুনেই বুঝতে পারবেন।
৫. আপনার সঙ্গিনী যদি আপনার মুখে অন্য কোনো মেয়ের নাম শুনে বিরক্ত বোধ করেন এবং কথা ঘুরানোর চেষ্টা করেন তবে অবশ্যই আপনি সেই নামটি আর মুখে আনবেন না। কারণ বেশিরভাগ মেয়েরাই নিজের পছন্দের মানুষটির মুখ থেকে নিজের নামটি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মেয়ের নাম শুনতে চান না।
৬. কথা বলার মাঝে আপনার কোনো কথার প্রেক্ষিতে যদি আপনার সঙ্গিনী আবার জিজ্ঞেস করেন, ‘কি বললে বুঝতে পারিনি, আবার বলো’, তাহলে তা ভুলেও দ্বিতীয়বার বলতে যাবেন না। এই কথার অর্থ হচ্ছে তিনি আপনার কথা শুনেছেন এবং বুঝেছেন কিন্তু তার কথাটি পছন্দ হয়নি।