শপিংয়ে যেতে আপত্তি স্বামীর? কীভাবে বশ করবেন দেখেনিন

হাত খুলে কেনাকাটা করতে কার না ভালো লাগে বলুন! শহরে একের পর এক আলো ঝলমলে শপিং মল, পর পর দোকানে রাশি রাশি সাজানো জিনিস, দেখলেই পছন্দ হয়ে যায় আর ঝাঁপিয়ে পড়ে কিনে ফেলতে ইচ্ছে করে। আবার হাতে কখনও যথেষ্ট রেস্ত না থাকলে উইন্ডো শপিং করাটাও দারুণ আকর্ষণীয় একটা ব্যাপার! মুশকিল হল, এ সব কাজে পারতপক্ষে স্বামীদের সঙ্গে পাওয়া যায় না! মেয়েদের মোটের উপর একাই শপিংয়ে বেরোতে হয়, কদাচিৎ স্বামীদেবতাটি গাঁইগুঁই করে কেনাকাটায় বেরোতে রাজি হলেও এমন চিরতা খাওয়া মুখ করে থাকেন যে শপিংয়ের অর্ধেক আনন্দই মাটি! এমন পরিস্থিতিতে কী করা যায়? মেয়েদের কি তা হলে শপিংয়ের মতো একটা জরুরি কাজ একাই সারতে হবে? তা কেন? বরং এমন কিছু করুন যাতে শপিংয়ের অভিজ্ঞতাটি আপনার স্বামীর কাছেও আনন্দময় হয়ে ওঠে! কীভাবে? চোখ বুলিয়ে নিন নিচের টিপসে।

আগেভাগে প্ল্যান করুন: আপনি ঘুরে ঘুরে এ দোকান ও দোকানে নানারকম জিনিসপত্র দেখছেন আর উনি বোর হচ্ছেন! আসলে দ্রুত শপিং সেরে ফেলতে ভালো লাগে না, মনে হয় আর একটু দেখি! কিন্তু ওঁর সঙ্গে যেদিন শপিং করতে বেরোবেন, সেদিনটা একটু দ্রুত সারার চেষ্টা করুন। মনে মনে প্ল্যান করে নিন আপনার কী কী কেনার আছে আর কোথা থেকে কিনবেন। কেনাকাটার ব্যাপারটা ওঁর সঙ্গে বেরোনোর দিনগুলোতে তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে পারলে পরে আর উনি শপিংয়ে যেতে আপত্তি করবেন না বলেই মনে হয়।

শুধু নিজের জিনিস কিনবেন না: স্বার্থপরের মতো গোটা দিন জুড়ে কেবল নিজের জন্য শপিং করে গেলে চলবে না। ওঁর কী কী লাগবে সেটাও জিজ্ঞেস করে নিন, ওঁর জিনিসপত্র কেনাতেও সময় দিন।

মাঝেমাঝে ব্রেক দরকার: একটানা ঘোরাঘুরি করলে একঘেয়েমি, বিরক্তি আসার আশঙ্কা প্রবল। অনেকক্ষণ ধরে কেনাকাটার প্ল্যান থাকলে মাঝেমাঝে রেস্তোরাঁ, কফিশপের বিরতি নিতেই হবে।

লঁজারি শপিং করুন: কেনাকাটা যে করতে ভালোবাসে না, তার কাছে ব্যাপারটা সত্যিই একঘেয়ে। আপনার স্বামীও যদি এই দলে পড়েন, তা হলে কেনাকাটার ব্যাপারে ওঁর আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে ওঁকে নিয়ে লঁজারি শপিংয়ে যেতে পারেন। একঘেয়েমি যে কিছুটা হলেও কাটবে, সেটা গ্যারান্টি দিয়েই বলা যায়।

শপিং ব্যাগ ভাগ করে নিন: সব ক’টা প্যাকেট ওঁর হাতেই চাপিয়ে দেবেন না যেন! প্যাকেটের ওজন বুঝে মোটামুটি সমানভাবে দু’জনে ভাগ করে নিন!

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy