রাগ পুষে না রেখে বরং চিৎকার করুন মিলবে উপকার

রাগ হলে কেউবা চিৎকার আবার কেউবা চুপ করে থাকে। তবে গবেষনা বলছে রাগ হলে চিৎকার করায় ভালো। এতে জমে থাকা অভিমান বর্ষার বৃষ্টির মতো ঝড়ে পড়ে। অবসান হয় কত পুষে রাখা রাগ, অভিমানের। কথা হয়নি বলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে কত সম্পর্ক। তাই সম্পর্কের যত্নে চুপ নয়; বরং চিৎকার করুন মন খুলে।

চিৎকার করার পাঁচটি সুফল জেনে নিন-

পুষে রাখা অভিমান মুক্তি পায়

প্রিয়জনের কোনও কাজে আপনার খারাপ লাগতেই পারে। খুব স্বাভাবিক সেটা। কিন্তু সেই খারাপ লাগা বা অভিমান নিজের মধ্যে পুষে না রেখে বলে দিন তাকে। আপনি যা অনুভব করছেন তা গোপন করবেন না। একটি স্বচ্ছ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইলে যা কিছু গোপন ক্ষোভ, রাগ, অভিমান উগরে দিন প্রিয় মানুষটির উপর সামনে।

ঘনিষ্ঠতা বাড়ে

মুষলধারে বৃষ্টি শেষে যেমন আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়, তেমনই দীর্ঘ ঝগড়ার শেষে মান-অভিমান দুজনকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। এতে সম্পর্ক আরও মজবুত ও দৃঢ় হয়।

বিশ্বাসের ভিত সুদৃঢ় করে

ঝগড়া বা চিৎকারের মধ্যে দিয়ে হলেও সমস্ত লুকানো ও গোপন রাগ অভিমান সামনে আসার ফলে বিশ্বাসের বন্ধনটা অনেক দৃঢ় হয়। অনেক সময় প্রিয়জনের প্রতি সন্দেহপ্রবণ হয়ে অনেকে মাথা গরম করে ঝগড়া শুরু করে দেন। এক্ষেত্রে অপরজনেরও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার দায় থেকে যায়। ফলে দুপক্ষের বাদানুবাদ শেষে সবটাই পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ হয়ে যায়।

মন হালকা করে

আজকাল এই দৌড়ঝাঁপের জীবনে সারা দিনে এক বার ছাড়া একে অপরকে সময় দেওয়ার সময়টুকু পান না অনেকে। তাদের জন্য ঝগড়া কিন্তু খুবই কার্যকর। তারা প্রয়োজনে অকারণে ঝগড়া করুন। সারা সপ্তাহ প্রিয়জনের প্রতি যত রাগ অভিমান পুষে রেখেছেন সব বলে দিন। মন হালকা করুন।

ধৈর্যশীল করে তোলে

অনেকক্ষণ ঝগড়ার পর আপনার হয়তো ক্লান্ত লাগতে পারে কিন্তু আপনার সঙ্গী হয়তো তখনও ঝগড়া চালিয়ে যেতে আগ্রহী। সেক্ষেত্রে আপনি চুপ করে গেলেও তাকে সঙ্গ দিতে আপনাকে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। কিংবা অপ্রয়োজনীয় তর্ক-বিতর্ক এড়াতে পরিস্থিতির সঙ্গে আপনাকে অভিযোজন করতে হয়। সাময়িক ভাবে এটা অত্যন্ত বিরক্তিকর মনে হলেও আগামীতে বুঝতে পারবেন আপনি আসলে ধীরে ধীরে সর্বংসহা হয়ে উঠেছেন।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy