![](https://techinformetix.in/wp-content/uploads/2022/05/love-1-20211013110550-1024x533.jpg)
বিয়ের সময়ে কিংবা বিয়ের পর বর ও কনেকে যে প্রশ্ন বেশিবার শুনতে হয় সেটি হলো, লাভ ম্যারেজ নাকি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ? দুই ক্ষেত্রে এখনও অনেকে দুই ধরনের ধারণা পোষণ করেন। বেশিরভাগ মা-বাবাই প্রথমবার শুনে লাভ ম্যারেজ বা প্রেমের বিয়েতে রাজি মত দিতে চান না। তারা ভাবেন তাদের সন্তান এখনও নিজের জীবনসঙ্গী নিজে নির্বাচন করার মতো বিচক্ষণ হয়নি। এই নিয়ে সন্তানের সঙ্গে মনোমালিন্য, অনেক সময় কথা কাটাকাটি পর্যন্ত হতে পারে। আপনি যদি প্রেম করে বিয়ে করতে চান সেক্ষেত্রে মা-বাবাকে রাজি করানোর জন্য কিছু বিষয় মেনে চলতে পারেন-
মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর রাখুন : সব সন্তানই মা-বাবাকে ভালোবাসে কিন্তু বড় হতে হতে একটা সময় দূরত্ব বাড়তে শুরু করে অনেকের মধ্যে। তখন আর চাইলেই যেকোনো বিষয় শেয়ার করা যায় না। সম্পর্কের মধ্যে বন্ধুত্বটা কমে যেতে থাকে। আপনি যদি আপনার প্রেমের বিয়েতে মা-বাবাকে রাজি করাতে চান তবে তাদের সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে। যদি সামান্য কিছু দূরত্ব এসেও থাকে তবে সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে ফেলুন। তাদের সঙ্গে সময় কাটান। মনে রাখবেন, তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক আপনার সামনের পথচলা আরও সহজ করে দেবে।
বিয়ের আলাপ : আপনার এবং আপনার মা-বাবার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলে গেলে বিয়ের প্রাথমিক কথাগুলো বলা শুরু করুন। তারা তাদের ভবিষ্যতের মেয়ে বা জামাইয়ের ভেতর কী গুণাবলী খুঁজছেন তা জানার চেষ্টা করুন এবং হালকাভাবে আলোচনা করুন। আপনার ভালোবাসার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কথা বলুন। তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কী এবং কী কাজ করা যেতে পারে তা জানুন। তবে আপনাকে কথায় স্মার্ট হতে হবে। এমনভাবে সবকিছু উপস্থাপন করতে হবে যেন তারা আপনাকে ‘না’ করতে না পারেন।
অন্তত একজন অভিভাবকের আস্থা অর্জন করুন : বিয়ের কথাবার্তা শুরু হওয়ার পর ভেবে দেখুন মা কিংবা বাবার মধ্যে কে আপনাকে বেশি সমর্থন করছেন বা আপনার দিকে বেশি ঝুঁকছেন। যদি উভয়েই হন তবে তো কথাই নেই। তবে অন্তত একজনের আস্থাভাজন আপনাকে হতেই হবে। মা কিংবা বাবাকে আপনার পক্ষে রাখতেই হবে। যদি তাদের দিক থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত মেলে তারপর আপনার পছন্দের মানুষটিকে তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।
আত্মীয়দের সাহায্য নিতে পারেন : সব আত্মীয় যে প্রেমের বিরুদ্ধে থাকেন এমন কিন্তু নয়। যদি আপনার কোনো আত্মীয় আপনার সমর্থনে থাকেন তবে তার সাহায্য নিন, বিশেষ করে যারা আপনার মা-বাবা চেয়ে বয়স্ক, যাদের তারা সম্মান করেন। হতে পারে দাদা-দাদি বা বড় চাচা কিংবা খালা। যদি ভাগ্য আপনার সঙ্গে থাকে তবে তারা আপনার বাবা-মাকে বোঝাতে সক্ষম হবেন।
পছন্দের মানুষটিকে পরিচয় করিয়ে দিন : প্রেমের বিয়ের আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মা-বাবার সঙ্গে আপনার পছন্দের মানুষটির পরিচয় করিয়ে দেওয়া। প্রিয় মানুষটির কাছে আপনার পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সংক্ষিপ্ত ধারণা দিতে ভুলবেন না। এর ফলে সে কার সঙ্গে কীভাবে কথা বললে খুশি হবে তা আগেভাগেই বুঝে নেবে। তবে কোনো মিথ্যার আশ্রয় নেবেন না। সহজ এবং শান্ত থাকুন। একটু ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নিলেই পরিবারের সবাইকে খুশি রেখে পছন্দের মানুষটিকে নিজের করে পাওয়া সহজ হবে।