একটি সম্পর্ক যেমন দুজনের ভালোলাগা ও ভালোবাসার মাধ্যমে গড়ে ওঠে, ঠিক তেমনই দুজনের বোঝাপোড়ার উপরে টিকে থাকে সম্পর্কটি। তবে দিন যেতেই বিভিন্ন কারণে সম্পর্কে সমস্যা দেখা দেয়। এর মূল কারণই হলো বোঝাপোড়া ঠিক না থাকা।
আসলে একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে নারী-পুরুষ উভয়কেই ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। দুজন দুজনকে বুঝতে হয়। তবে অনেকেই অভ্যাসের বসে এমন কিছু ভুল করে বসেন যা অন্য মানুষটিকে কষ্ট দেয় বা অপছন্দের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তখন সম্পর্কে জটিলতার সৃষ্টি হয়।
যে কোনো সম্পর্কেই দুজনের দিক দিয়েই ভুল থাকতে পারে। তবে কিছু ভুল আছে যা নারীর চেয়ে পুরুষরাই বেশি করেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, পুরুষের ঠিক কোন কোন অভ্যাস নারীরা একেবারেই পছন্দ করে না-
>> কারও কাম্য নয় যে, তার সঙ্গী সে নারী হোক বা পুরুষ তিনি মিথ্যা বলুক। অনেক পুরুষই সঙ্গীর থেকে ছোট-বড় বিভিন্ন মিথ্যা বলেন। কখনো তা ইচ্ছাকৃত আবার কখনো অশান্তির ভয়ে এড়িয়ে যান।
তবে যা-ই হোক না কেন মিথ্যা কথা বলা একেবারেই উচিত নয়। এটি সম্পর্কের ভিত দুর্বল করে দেয়। আর জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে কোনো বিষয়ই লুকানো উচিত নয়।
>> অনেক পুরুষ শুধু নিজের বিষয়েই ভাবেন। তার কী ইচ্ছা, আকাঙ্খা, ভালো লাগা সেদিকেই নজর দেন। এমন ব্যক্তিরা কখনো সঙ্গীর ভালোমন্দ ভাবেন না। এমন স্বার্থপর পুরুষকে নারীরা কখনো পছন্দ করেন না। ফলে সম্পর্কে দেখা দিতে শুরু করে সমস্যা। তাই সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল হয়ে উঠুন।
>> কথায় কথায় ফ্লার্ট করা অনেক পুরুষেরই বাজে স্বভাব। এমনটি কোনো সঙ্গীই পছন্দ করেন না। ফলে অনেক সংসারে কিংবা সম্পর্কেই ফাটল ধরে।
>> সংসারের সব দায়িত্বই পুরুষের উপর বর্তায়। তবুও অনেক নারীই স্বদিচ্ছায় সংসারের ভার নিজের কাঁধে নেন। কারণ তিনি তার পুরুষ সঙ্গীর চাপ আরও কমাতে চান।
তার মানে এই নয় যে আপনি তার উপর সব দায়িত্ব ফেলে রাখবেন। সংসারে সব দায়িত্বই সমানভাবে ভাগ করে নেওয়া উচিত। না হলে সাংসারে অশান্তি লেগেই থাকবে।
>> কাজ শেষ হওয়ার পরেও অনেকেই দেরি করে বাড়ি ঢোকার কারণে দেখা দিতে পারে সমস্যা। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এ বিষয়ে নজর রাখতে হবে।
>> মাদকাসক্তি অনেক সম্পর্ক ও সংসার ভাঙার অন্যতম এক কারণ। এই বিষয়টি অনেকের কাছেই ফ্যাশন কিংবা ট্রেন্ড হতে পারে। তবে আপনার সঙ্গী অবশ্যই বিষয়টি পছন্দ করবেন না। বিশেষ করে নারীরা একেবারেই বিষয়টি অপছন্দ করেন।
>> ঝগড়ার সময় অনেক পুরুষই তার সঙ্গীকে বাজে কথাও বলে ফেলেন। বিষয়টি খুবই খারাপ। এতে আপনার সঙ্গী অনেক কষ্ট পেতে পারেন। প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই নিজের কথাবার্তা নিয়ে সংযত হতে হবে।