ব্যস্ত জীবনযাত্রা, অনিয়মিত ডায়েট ও প্রচণ্ড শারীরিক-মানসিক চাপের কারণে বন্ধ্যাত্ব অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারী বা পুরুষ, উভয়ই ভুগছেন সন্তানহীনতার সমস্যায়। সম্প্রতি পুরুষের মধ্যে এই বন্ধ্যাত্ব উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে ৩০-৫০ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী পুরুষরাই। তবে সুস্থ-সবল প্রজনন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য কিছু কাজ করতে পারেন পুরুষরা। এগুলো হলো-
১) সুস্থ সন্তানের জন্মের জন্য রোগহীন শরীর এবং স্বাভাবিক ওজন অত্যন্ত আবশ্যক। অতিরিক্ত বা স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন সন্তান ধারণের পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক ডায়েট মেনে চলুন। খাবারের তালিকায় রাখুন পুষ্টিকর খাবার।
২) পুরুষের বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে আমন্ড বাদাম অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। প্রতিদিন সকালের খাবারে অন্তত পাঁচটি আমন্ড বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। উপকার পাবেন।
৩) ভিটামিন-ই নারী ও পুরুষ, উভয়েরই বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করে। দই বা ইস্ট জাতীয় খাবারে রয়েছে এই ভিটামিন-ই। চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে ভিটামিন-ই ওষুধ হিসেবেও খেতে পারেন।
৪) যেকোনো মৌসুমি ফল বা সবজিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। পেয়ারা, আম, আপেল, তরমুজ, আঙুর ইত্যাদি ফল আর বাঁধাকপি, ঢ্যাঁড়স, কুমড়া ইত্যাদি সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলো নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখুন।
৫) অতিরিক্ত তেলেভাজা বা মশলাদার খাবার-দাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এ ছাড়া কৃত্রিম রঙ ও গন্ধযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।