অনেকেই পায়ের রগে হঠাৎ টান ধরার সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। এ সময় তীব্র যন্ত্রণা অনুভব হয়। বিশেষ করে অনেকের ঘুমের মধ্যেই পায়ের রগে টান ধরে। আবার ঘুম থেকে উঠতে গেলে বা সকালে হাঁটা শুরু করতেই পায়ের শিরায় টান ধরে।
হেলথ লাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নানা কারণে পায়ের রগে টান পড়তে পারে। এ ঘটনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক শারীরিক অন্তর্নিহিত অবস্থা নির্দেশ করে না। ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য রগে টান পড়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘন ঘন রগে টান পড়ার সমস্যায় ভুগলে, চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
কেন হয়?
* পর্যাপ্ত জল না পান করলে অর্থাৎ ডিহাইড্রেশনের কারণে হতে পারে।
* যাদের শরীরে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তারা এ সমস্যায় ভুগতে পারেন।
* সঠিক পজিশনে না ঘুমালে রগে টান পড়তে পারে।
* দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে হতে পারে।
* শক্ত জায়গায় দাড়িয়ে থাকার ফলে পায়ের রগে টান পড়তে পারে।
* পায়ের পেশি বেশি ব্যবহার বা অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণে হতে পারে।
* গর্ভবতী নারীদের প্রয়োজনীয় খনিজের অভাবে রগে টান ধরতে পারে।
করণীয়
* পা সোজা করে পায়ের পেছনের মাংসপেশিতে হালকা মালিশ করুন।
* ধীরে ধীরে স্ট্রেচিং করুন। তবে অন্য কোনো ব্যায়াম এ সময় না করাই ভালো।
* গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে হালকা সেঁক বা জলে বোতলে গরম জল দিয়ে সেঁক দিতে পারেন পনেরো থেকে বিশ মিনিট।
* শক্ত কোনো কাজ করা যাবে না। এ সময় সম্পূর্ণ রিলাক্স থাকুন।
প্রতিরোধের উপায়
* শরীরে জলে র পরিমাণ কমে গেলে পায়ের মাংসপেশিতে টান ধরার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে।
* ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন ডিম, দুধ, সবুজ শাকসবজি, ফল, কলিজা ইত্যাদি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।
* টানা কাজ না করে মাঝে মধ্যে সাময়িক বিরতি নিতে হবে।
* পা ক্রস করে বসলে পায়ের ওপর চাপ পড়ে এবং রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। তাই এ ধরনের অবস্থানে বসবেন না। দীর্ঘ সময় একই ধরনের অবস্থানে না থেকে দু–এক ঘণ্টা পরপর বদলাতে হবে।
* নিয়মিত কাফ মাসল স্ট্রেচিং করতে হবে।TS