নতুন বিয়ের পর ঘর-অফিস সামলানো

কর্মজীবী নারীদের একই সাথে সামলাতে হয় ঘর আর অফিস দু’টোই। স্বামী যতই উদার হন না কেন আমাদের সমাজে কিছু কাজ মেয়েদের বলে ঠিক করে রাখা হয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকে। আর সেই কাজগুলো করতে হয় মেয়েদেরকেই। স্বামী যদিও বা সাহায্য করেন তবু সেটা আসলে সাহয্যই। মূল কাজে কিছুটা হাত লাগানো। কাজ তো করতে হয় নারীকেই।

তার পর আবার অফিসের কাজ নিজেরটা নিজেরই করতে হয়। তাহলে কীভাবে সামলাবেন এত কাজ? নতুন বিয়ে করা নারীরা একটু হিমশীম খেয়ে যান। অনেক নারীকে পড়াশোনা করার সময়ই বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে। অনেক চাকরি নিয়েই বিয়ে করেন। কিন্তু পরিবারকে সময় দেয়া আবার একইসাথে ক্যারিয়ার গোছানো হয়ে দাঁড়ায় যুদ্ধ। অবলম্বন করুন এই কৌশলগুলো-

‘না’ বলুন :
আপনার কাজকে কমিয়ে দিতে সবচেয়ে কার্যকরি উপায় হল ‘না’ বলা। যে কাজ আপনার জন্য অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে সে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। অনুরোধ রাখতে গেলে দিন শেষে দেখবেন প্রয়োজনীয় কাজের তুলনায় অপ্রয়োজনীয় কাজই বেশী করা হয়েছে। মিষ্টি হেসে জানিয়ে দিন যা আপনার অনেক কাজ আছে। সব কিছু করা আপনার দায়িত্ব নয়।

কাজ ভাগ করে দিন:
পরিবারের সব কাজের দায়িত্ব নিজের কাধে না নিয়ে সবার মাঝে কাজ ভাগ করে দিন। প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কিছু অনিয়ম থাকে। সেগুলো গুছিয়ে তোলা আপনার কাজ নয়; বরং প্রত্যেককে উৎসাহিত করুন নিজের কাজ নিজে করে ফেলতে। প্রথমে হয়ত সেটা সবার ভাল লাগবে না। কিন্তু আপনি অটল থাকলে একসময় সবাই ঠিকই মেনে নেবে।

নিজের চাওয়াগুলো প্রকাশ করুন :

মুখ বুজে সব আবদার মেনে নেয়া আর নিজের কষ্ট ভাগ করে না নেয়া আমাদের মেয়েদের বহুদিনের অভ্যাস। কিন্তু এই অভ্যাস ধরে রাখলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন আপনি নিজেই। পরে আফসোস করেও এই সময় ফিরে পাবেন না। সারাদিন কেমন পরিশ্রম করেছেন অফিসে বাসায় ফিরে তা শেয়ার করুন। আপনার বিশ্রাম প্রয়োজন, সেটা মুখ ফুটে বলুন। নিজের চাওয়া- না চাওয়াগুলো প্রকাশ করুন।

সঙ্গীকে করুন সহযোগী :

কিছু কাজ একান্তই নারীর- এই প্রচলিত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। সঙ্গীকে উতসাহিত করুন ঘরের কিছু কাজ করে ফেলতে। কাজের কোন লিংগ নেই। তাকে বন্ধুর মত সব করতে উৎসাহিত করুন। সাহায্য নয়। কিছু কাজ হোক তার আর কিছু আপনার- সমান সমান।

প্রতিরাতে করুন এই কাজটি :

পরদিনের কাজগুলো এক দুই করে লিখে ফেলুন। একটা তালিকা করুন প্রতিরাতে পরদিন কি কি করতে হবে। গুরুত্ব অনুযায়ী চিহ্নিত করুন সেগুলোকে। পরদিন যত নতুন কাজই যোগ করুক পরিবারের অন্যরা আপনার এই কাজগুলোতে বিঘ্ন ঘটায় এমন কোন কাজ আপনি নেবেন না। তাহলে সহজেই গুছিয়ে উঠে টার্গেটের সবকয়টি কাজ করে ফেলতে পারবেন।Ts

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy