জলশূন্যতায় ভুগছেন কি না বলে দেবে ৩০ সেকেন্ডের পরীক্ষায়

গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায় ঘাম ও প্রসাবের সঙ্গে। এ সময় যদি পর্যাপ্ত জল পান করা না হয় তাহলে ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতায় ভুগতে পারেন। এ সমস্যা দেখা দেওয়ার পরও যদি জলর ঘাটতি রয়ে যায় তাহলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

তবে অনেকেই প্রাথমিক অবস্থায় টের পান না যে তিনি জলশূন্যতা আক্রান্ত। এ কারণে দীর্ঘদিন জলর ঘাটতি মারাত্মক শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। এমনকি এই গরমে জলশূন্যতার কারণে কিডনি বিকলও হতে পারে। এছাড়া প্রস্রাবে ইনফেকশনও দেখা দিতে পারে।

জলশূন্যতার লক্ষণ কী কী?

>> মাথা ব্যথা
>> কোষ্ঠকাঠিন্য
>> দুর্বলতা
>> ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
>> অস্থিসন্ধিতে ব্যথা
>> ওজন বেড়ে যাওয়া
>> রক্তচাপ কমে যাওয়া
>> ইউরিন ইনফেকশন
>> কিডনির বিকল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

জলশূন্যতায় ভুগছেন কি না তা কিন্তু ঘরোয়া উপায়েই মাত্র ৩০ সেকেন্ডে পরীক্ষা করতে পারেন। এক্ষেত্রে স্কিন টার্গর বা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা পরীক্ষা করার মাধ্যমে পরীক্ষা করতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি চিমটির মাধ্যমেই আপনি ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না তা জানতে পারবেন।

এজন্য আপনার হাতের পেছনে, বাহু নিচে বা পেটের চামড়ায় দুটি আঙুল দিয়ে চিমটি কাটুন। কয়েক সেকেন্ডের জন্য চামড়া টেনে ধরে রাখুন। তারপর ছেড়ে দিন।

এবার খেয়াল করে দেখুন ত্বকের রং ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে কি না, যদি স্থানটি ফ্যাকশে হয় আর ত্বকের রং স্বাভাবিক হতে সময় লাগে তাহলে বুঝবেন আপনি জলশূন্যতায় ভুগছেন। আর যদি ত্বকের রং দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন আপনার শরীরে জলর ঘাটতি নেই।

ডিহাইড্রেশন ঝুঁকি কমাবেন কীভাবে?

আপনি যদি ডিহাইড্রেশনের বিভিন্ন উপসর্গ যেমন- শুষ্ক মুখ, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও তৃষ্ণার্ত হওয়া অনুভব করেন তাহলে বারবার অল্প অল্প করে জল পান করুন।

এর পাশাপাশি দিনে পর্যাপ্ত তরল পান করা উচিত যাতে আপনার প্রস্রাবের রং পরিষ্কার হয়। যদি বমি বা অতিরিক্ত ঘাম বা ডায়রিয়া হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি তরল খাবার যেমন- স্যুপ, তাজা ফলের রস বেশি করে পান করুন।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy