সুস্বাদু রান্না মানেই অনেক বেশি তেল ঢালা নয়। কৌশল জানলে অল্প তেলেও তৈরি করা যায় সুস্বাদু সব খাবার। অনেকের ধারণা, কম তেলে রান্না মানে বিদেশি নানা পদ। দেশি রান্নার জন্য বুঝি বেশি তেলের প্রয়োজন। মোটেই তা নয়। দেশীয় নানা পদ তৈরি করা যাবে অল্প তেলেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মাছ বা মাংস কেনার সময়
আমাদের প্রতিদিনের খাবারে মাছ বা মাংস থাকেই। সেসব রান্নার জন্য আমরা অনেকটা তেলও ব্যবহার করি। যদি কম তেলযুক্ত খাবার খেতে চান তবে চর্বিযুক্ত মাংস বা তেলযুক্ত মাছ না কিনে তার বদলে লিন মিট ও ছোট মাছ কিনুন। এতে খাবার থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট শরীরে জমার ভয় থাকবে না। সেইসঙ্গে অল্প তেলে তো রাঁধবেনই।
সেদ্ধ খাবার
অনেক ধরনের সবজিই সেদ্ধ করে খাওয়া যায়। যেমন আলু, কাঁচকলা, কুমড়া, বেগুন, শিম, ঢেঁড়স ইত্যাদি। এসব সবজি সেদ্ধ করে লবণ দিয়ে খাওয়া যায় বা ভর্তা করে খাওয়া যায়। এতে তেলের দরকার পড়ে না। তেল-মসলাযুক্ত তরকারির বদলে সেদ্ধ সবজি পেট ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। হজমও ভালো হয়। বেশি তেলে ভাজা খাবারে অনেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। সেদ্ধ খাবার খেলে সেই ভয় থাকে না।
সবজি রান্নার ক্ষেত্রে
অনেকের কাছে সেদ্ধ খাবার খেতে ভালো নাও লাগতে পারে। তারা সবজি রান্না করে খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে তেল-মসলা কষিয়ে সবজি রান্না না করে এর বদলে সব সবজি একসঙ্গে সেদ্ধ করে অল্প তেলে ফোড়ন দিয়ে খেতে পারেন। এতে বেশি পুষ্টি পাওয়া যাবে। অল্প তেলেও রান্না হবে সুস্বাদু।
মাছের পদ
মাছ রান্না হলেই যে তা ডুবো তেলে ভাজা হতে হবে বা তেলে-ঝোলে মাখামাখি হতে হবে, এমন নয়। স্টিমড বা স্মোকড ফিশ খেতে পারেন। সেইসঙ্গে আমাদের ভাপা মাছের পদ তো আছেই। ইলিশ ভাপা, ভেটকি ভাপা ইত্যাদি বেশ সুস্বাদু পদ। অল্প আঁচে ঢাকনা দিয়ে ভাপিয়ে রাঁধলে খুব একটা তেলের দরকার পড়ে না, অল্প তেলেই সুস্বাদু রান্না করা যায়।
মাংস রান্নায়
অল্প তেলেই রান্না করা যায় মাংসের সুস্বাদু পদ। সেজন্য খেয়াল রাখতে হবে ম্যারিনেশনের দিকে। মাংস ম্যারিনেশনে সময় দিতে হবে বেশি। টক দই আর মশলা দিয়ে ভাপিয়েও রান্না করতে পারেন মাংস। মাংস রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন বিদেশি নানা ধরনের মসলা। এতে স্বাদ আরও বাড়বে।
ডুবো তেলে ভাজার বদলে
অনেক খাবার আছে যেগুলো ডুবো তেলে ভেজে খাওয়ার অভ্যাস আমাদের। এই অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। কারণ ডুবো তেলে ভাজা খাবার খেতেই শুধু ভালো লাগে, এর কোনো উপকারিতা নেই। অনেক সময় এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই ডুবো তেলের বদলে ভাপানো, সেঁকা, ঝলসানো, বেক করা ইত্যাদি ধরনের খাবার খেতে পারেন।