মতের অমিল, টেম্পারামেন্টের অভাবের মতো নানা কারণে সম্পর্ক বিষিয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। যে সব সম্পর্কে পারস্পরিক সম্মানবোধ, নির্দ্বিধায় নিজের সমস্ত অনুভূতি প্রকাশ করার মতো সুযোগ থাকে না, সে সম্পর্ক বিষিয়ে যাওয়ারই কথা। তার মধ্যে যদি গার্হস্থ্য হিংসাও থাকে, তা হলে তো কথাই নেই! বিশেষজ্ঞেরা বলেন, দিনের পর দিন অসুস্থ সম্পর্কে থাকতে থাকতে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া খুব স্বাভাবিক। এমনকী, আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে পড়াও বিচিত্র নয়।
কীভাবে বুঝবেন, নিজের অজান্তেই একটা বিষাক্ত সম্পর্কের মধ্যে আপনি জড়িয়ে পড়েছেন কিনা? লক্ষ রাখুন নিচের চিহ্নগুলোয়।
স্বামীর সান্নিধ্যে থাকতে আপনার ক্লান্ত, বিরক্ত লাগে
স্বামী কাছাকাছি থাকলে কি আপনি ঠিক ততটা খুশি হয়ে উঠতে পারেন না? বরং ক্লান্তি আর বিরক্তিবোধই বেশি হয়, সারাক্ষণ সতর্ক থাকেন? সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে পারেন, একটা নেগেটিভ সম্পর্কে রয়েছেন আপনি।
স্বামী বাড়িতে থাকলে আপনি স্বচ্ছন্দবোধ করেন না
স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সান্নিধ্যে স্বচ্ছন্দবোধ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তেমন যদি না হয়, তা হলে ধরে নিতে পারেন সম্পর্কে ভাঙন ধরতে শুরু করে দিয়েছে। পরস্পরের সঙ্গে ভালো করে কথা না বলা, সংসারের কাজ ভাগ করে না নেওয়া, যৌনজীবন একেবারেই না থাকা, এ সব আসলে তারই লক্ষণ। অনেক সময় অবশ্য কাজের চাপেও স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে সময় দিতে পারেন না, কিন্তু একটানা এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তা নিশ্চিতভাবেই গুরুতর সমস্যারই ইঙ্গিত।
স্বামী সারাক্ষণ আপনার সমালোচনা করেন
প্রশংসা করা দূরে থাক, আপনার সব কাজই কি স্বামী খাটো করে দেখান? স্বার্থপরের মতো আচরণ করেন? সে ক্ষেত্রে সাবধান হওয়ার সময় হয়েছে।
স্বামী মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন না
যে কোনও সম্পর্কেই ঝগড়াঝাঁটি হতে পারে, কিন্তু সুস্থ সম্পর্কে দু’পক্ষই ব্যাপারটা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সম্পর্ক যদি স্বাভাবিক রাস্তায় না চলে, তা হলে একপক্ষ মিটমাটের চেষ্টা করলেও অপর পক্ষ গোঁ ধরে থাকেন। ফলে সম্পর্কে স্থায়ী একটা সমস্যা থেকেই যায়।
গার্হস্থ্য হিংসা, গালিগালাজ
সারাক্ষণ অপমানকর কথাবার্তা, গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা ঘটার অর্থ সম্পর্কটা বিষিয়ে গেছে। অপেক্ষা না করে আত্মীয় ও বন্ধুদের সাহায্য নিন।ts