অল্প বয়সে বিয়ে করলে মিলবে উপকার, জানলে চমকে যাবেন

ঠিক কোন বয়সে বিয়ে করা উচিত তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। অনেকেরই ধারণা বেশি বয়সে বিয়ে করাই সঠিক। কারণ বিয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়ও জড়িত থাকে বলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত অনেকেই বিয়ের কথা ভাবতে না করেন।
কিন্তু জানেন কি, দ্রুত বিয়ে করে ফেলার সিদ্ধান্তই বুদ্ধিমানের মতো কাজ। এতে জীবনটা অনেক বেশিই সহজ হয়ে যাবে। অনেক ধরণের সমস্যা থেকে অনায়াসেই মুক্ত থাকতে পারবেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কম বয়সে বিয়ে করার সুফলগুলো-

> আগে বিয়ে করলে আপনার কাছে এসে কেউ ‘কেন বিয়ে করছ না’, ‘কবে বিয়ে করবে’, ‘বয়স বেড়ে যাচ্ছে’, ‘কাউকে পছন্দ কর কি’ ইত্যাদি বিরক্তিকর কথা শোনার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

> আপনি যদি ৩০ পার করে বিয়ে করেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার বয়সের কারণে আপনার মধ্যে যে গাম্ভীর্য চলে আসবে তার জন্য সম্পর্ক খুব বেশি মধুর ও ঘনিষ্ঠ হবে না। ব্যাপারটি বরং এমন হবে যে, বিয়ে করা উচিত তাই বিয়ে করেছি। এ কারণে আগেই বিয়ে করা ভালো। যখন আবেগ কাজ করে অনেক।

> বেশি বয়সে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের জন্য কতটা সময় পান? বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সন্তানের দায়িত্ব এসে পড়ে। আর সন্তান হয়ে গেলে দু’জনের একান্ত সময় কাটানো খুব বেশি হয়ে ওঠে না। কিন্তু অল্প বয়সে বিয়ে করলে সঙ্গীর সঙ্গে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। এতে সম্পর্ক অনেক ভালো ও মধুর থাকে।

> একাই সুখ-দুঃখ ভোগ করার চেয়ে দু’জনে ভাগাভাগি করে নিলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। অল্প বয়সে বিয়ে করলে জীবনের সবকিছু ভাগ করে নেয়া যায়। ফলে মানসিক চাপটাও কম পড়ে।

> সন্তানের জন্য খুব ভালো মাতা-পিতার উদাহরণ হতে পারবেন যদি বিয়ে আগে করে ফেলেন। আপনি দেরিতে বিয়ে করলে সন্তান মানুষ করার বিষয়টিও পিছিয়ে যাবে। আর আপনার মানিসকতাও কিন্তু দিনকে দিন নষ্ট হতে থাকবে।

> দুর্ভাগ্যবশত অনেকেই বিয়ের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাই এখন ডিভোর্সের সংখ্যাও বাড়ছে। জলদি বিয়ে করার কিন্তু এই দিক থেকেও সুবিধা রয়েছে। যদি অল্প বয়সে বিয়ে করার পর, কোনো কারণে যদি সম্পর্ক ভেঙেও যায়, তারপরও জীবনটাকে নতুন করে গুছিয়ে নেয়ার দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া যায়।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy