সংশ্লিষ্ট গবেষকদের মতে, মানুষের কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়ামের বিষয় পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, প্রকৃতপক্ষে তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা হৃদরোগ, মানসিক চাপ এমনকি ক্যান্সারের কারণে সৃষ্ট হতে পারে।
গবেষণার জন্য চিকিৎসকরা প্রায় ১২ হাজার অংশগ্রহণকারীর কিছু মৌলিক প্যারামিটার বিশ্লেষণ করেছেন, যারা ইকোকার্ডিওগ্রামে তাদের কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করে নির্দিষ্ট হৃদরোগ এবং তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্রিয়াগুলো নির্ণয় করেছেন। দেখা গেছে, যারা ট্রেডমিলে (পা চালিত যন্ত্র বা মিল) চালিত হওয়ায় সক্ষম ছিল তারা দীর্ঘজীবী হয়েছে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ট্রেডমিলের জায়গায় সিঁড়ি প্রতিস্থাপিত হলে একই ফল অর্জন করা যাবে। এক মিনিটে যদি কেউ সিঁড়ির চারটি ফ্লাইট আরোহনে সক্ষম হয়, তবে এটি তাদের হৃদযন্ত্র ভালো থাকার ইঙ্গিত দেয় এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি তার অনেক কম।
যদি আপনি এই সময়ের মধ্যে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারেন তবে বুঝতে হবে আপনার হৃদযন্ত্র যথেষ্ট ভালো। আর যদি ব্যর্থ হন, তবে এটি আপনাকে এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আপনার যথেষ্ট ব্যায়াম করা প্রয়োজন। কারণ ব্যায়াম সুষম খাবারের পাশাপাশি শরীরের ক্রিয়া সম্পাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শারীরিক গতি কেমন হওয়া উচিত?
গবেষণার ফল অনুযায়ী, একজন মানুষের সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিটের মাঝারি পরিশ্রমের কাজ অথবা অন্তত ৭৫ মিনিটের কঠিন পরিশ্রমের কাজের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। শরীর উপযুক্ত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সময় ব্যয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে, রক্ত সঞ্চালন তরল রাখে এবং প্রদাহজনিত সমস্যা হ্রাস পায়।
TS