প্রেমিকার টানে সীমান্ত পার, কিন্তু দেখা হলো না! অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে পুলিশের খাঁচায় বাংলাদেশি রায়হান

পদ্মাপাড়ে অস্থিরতা চললেও প্রেমের টানে ঝুঁকি নিতে পিছপা হননি বছর পঁচিশের এক বাংলাদেশি যুবক। তবে শেষরক্ষা হলো না। বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই সীমান্ত পেরিয়ে এপারে আসতেই শ্রীঘর হলো তাঁর ঠিকানা। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত যুবকের নাম রায়হান কবীর, বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরার ওল্ড সাতক্ষীরা রোড এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোররাতে বসিরহাট মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ওই যুবককে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে বসিরহাট থানার পুলিশ আধিকারিক রক্তিম চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে রায়হানকে আটক করে। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর কাছে ভারতে প্রবেশের কোনও পাসপোর্ট বা ভিসা পাওয়া যায়নি। জেরায় রায়হান স্বীকার করেন, ফেসবুকের মাধ্যমে উত্তর ২৪ পরগনার এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই টানেই সাতক্ষীরা সীমান্ত পেরিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এপারে চলে আসেন তিনি। কিন্তু প্রেমিকার বাড়ির হদিশ না পেয়ে সীমান্তে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরছিলেন, তখনই ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। আজ তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।

অন্যদিকে, ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে বিক্ষোভ অব্যাহত। ভিসা অফিস বন্ধের পর এবার শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কি মোড়ে অবস্থিত বাংলাদেশের সরকারি ‘সোনালী ব্যাঙ্ক’ অভিযানের ডাক দেয় বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ। শুক্রবার বিকেলে পাকুড়তলা মোড় থেকে একটি বিশাল মিছিল সোনালী ব্যাঙ্কের সামনে পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের চরম ধস্তাধস্তি হয়। ব্যাঙ্কের সামনেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কুশপুতুল দাহ করেন আন্দোলনকারীরা।

মহামঞ্চের উপদেষ্টা বিক্রমাদিত্য মণ্ডল কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, “বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। আমরা চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতেও আবেদন জানিয়েছি যাতে বাংলাদেশিদের কোনও পরিষেবা না দেওয়া হয়।” একদিকে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ প্রেম, অন্যদিকে রাজপথে কূটনৈতিক উত্তেজনা— সব মিলিয়ে ওপার বাংলার আঁচ এপার বাংলার জনজীবনকে রীতিমতো তপ্ত করে রেখেছে।