“মমতাই আজকের ইন্দিরা গান্ধী!” তৃণমূলে যোগ দিয়েই পার্নো মিত্রের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা

বাংলার রাজনৈতিক আঙিনায় ফের এক বড়সড় ধামাকা। টলিউড অভিনেত্রী পার্নো মিত্রের (Parno Mitra) হাত ধরে শিরোনামে উঠে এল তৃণমূল বনাম বিজেপি সংঘাত। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করে বসেন পার্নো। আর তাঁর এই মন্তব্য ঘিরেই এখন রাজ্য রাজনীতিতে বইছে বিতর্কের ঝড়।

প্রসঙ্গত, পার্নোর এই রাজনৈতিক অবস্থান বদল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির টিকিটে বরানগর কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন। যদিও জয়ের মুখ দেখেননি। এবার গেরুয়া বসন ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েই তিনি নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “যদি আমাদের দেশে ১৯৭১-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রয়োজন পড়ে, তবে ইন্দিরা গান্ধীর মতো বিকল্প কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।”

পার্নোর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহস ও দৃঢ়তা তাঁকে ইন্দিরা গান্ধীর সমতুল্য করে তুলেছে। তিনি আরও জানান, মানুষের সেবা করার জন্য তিনি এমন এক মঞ্চ খুঁজছিলেন যেখানে সঠিক নেতৃত্ব রয়েছে। তবে বিজেপি এই দলবদলকে ‘সুবিধাবাদী রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করেছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কদিন আগেও যিনি বিজেপির হয়ে ভোট চেয়েছেন, তাঁর মুখে আজ উল্টো সুর কেবল রাজনৈতিক লাভের জন্য। বামেরাও এই ‘ব্যক্তিকেন্দ্রিক’ স্তুতির কড়া সমালোচনা করেছে।

তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পার্নোর মতো লড়াকু ব্যক্তিত্বের আগমনে দলের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতাকে ইন্দিরার সঙ্গে তুলনা করা কোনো আবেগ নয়, বরং জাতীয় স্তরে মমতাকে এক শক্তিশালী নেত্রী হিসেবে তুলে ধরার কৌশলী চাল। এখন দেখার, এই নয়া ইনিংস পার্নো মিত্রের রাজনৈতিক কেরিয়ারে কতটা সাফল্য নিয়ে আসে।