সোনা না রুপো, ২০২৬-এ কোনটা দেবে বাম্পার রিটার্ন? কি বলে বিশেষজ্ঞরা

২০২৫ সালটি সোনা ও রুপোর বিনিয়োগকারীদের জন্য আক্ষরিক অর্থেই ছিল এক সোনালি বছর। শেয়ার বাজারের তুলনায় এই দুই মূল্যবান ধাতু যে পরিমাণ রিটার্ন দিয়েছে, তা রীতিমতো নজিরবিহীন। পরিসংখ্যান বলছে, মাল্টি কমোডিটি মার্কেটে এই বছরে সোনার দাম প্রায় ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৭৫,২৩৩ টাকা ছিল, তা লাফিয়ে পৌঁছেছে ১,৩৮,১৮৯ টাকায়। তবে সবাইকে চমকে দিয়েছে রুপো। চলতি বছরে রুপোর রিটার্ন প্রায় ১৫০ শতাংশ! কেজি প্রতি ৮৫,১৪৬ টাকা থেকে রুপোর দর পৌঁছেছে ২,২৩,৭৩০ টাকায়। যেখানে নিফটি রিটার্ন দিয়েছে মাত্র ১০.১৮ শতাংশ।
কেন এই দাম বৃদ্ধি? বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলোর সোনা কেনার হিড়িক এবং ডলারের মূল্যের পতনই এর প্রধান কারণ। এছাড়া অটোমোবাইল ও ইলেকট্রনিক্স শিল্পে রুপোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা একে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। গোল্ড এবং সিলভার ইটিএফ (ETF)-এ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও দাম বাড়াতে অনুঘটকের কাজ করেছে।
২০২৬ সালের পূর্বাভাস কী? আনন্দ রাঠি শেয়ার অ্যান্ড স্টক ব্রোকারের ডিরেক্টর নবীন মাথুর জানিয়েছেন, এই দুই ধাতুর ফান্ডামেন্টাল এখনও অত্যন্ত শক্তিশালী। ২০২৬ সালেও সোনার দাম স্থিতিশীল ও ঊর্দ্ধমুখী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ঋদ্ধি সিদ্ধি বুলিয়ানস লিমিটেডের পৃথ্বীরাজ কোঠারি আরও এক ধাপ এগিয়ে দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম আউন্স প্রতি ৫০০০ থেকে ৫৫০০ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১.৫০ থেকে ১.৬৫ লাখ টাকা) পৌঁছে যেতে পারে।
অন্যদিকে সেনকো গোল্ডের বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৬-এ রুপোর দাম আউন্স প্রতি ৫৫ থেকে ৭৫ ডলারে ঘোরাফেরা করবে। ফলে যারা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য ২০২৬ সালটিও হতে পারে অত্যন্ত লাভজনক। তবে যে কোনো বিনিয়োগের আগে বাজার যাচাই করা এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।