বাজপেয়ীর ১০১তম জন্মজয়ন্তী: রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে শ্রদ্ধার্ঘ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, স্মৃতিতে ‘পুরানো সতীর্থ’!

দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর ১০১তম জন্মজয়ন্তীতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে জন্ম নেওয়া এই প্রবাদপ্রতিম জননেতার সঙ্গে মমতার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর। এদিন সোশাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই।”

স্মৃতি রোমন্থন করলে দেখা যায়, ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ রেল ও কয়লা মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন। অটল জমানায় মমতার সেই ভূমিকা আজও রাজনৈতিক মহলে চর্চিত। এদিন সকালে দিল্লির স্মৃতিসৌধ ‘সদৈব অটল’-এ গিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপ-রাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপস্থিত ছিলেন নির্মলা সীতারমন ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার মতো ব্যক্তিত্বরা। সংসদ ভবনেও ওম বিড়লা ও জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হয়।

কেন্দ্রীয় সরকার এই দিনটিকে ‘সুশাসন দিবস’ (Good Governance Day) হিসেবে পালন করছে। পোখরান পরমাণু পরীক্ষা থেকে কার্গিল যুদ্ধের ‘অপারেশন বিজয়’—বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রতিটি পদক্ষেপ আজও ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা। নয় বার লোকসভা ও দু’বার রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে তাঁর চার দশকের সংসদীয় জীবন ছিল বর্ণময়। ২০১৮ সালে প্রয়াত হওয়া এই মহান নেতার স্মরণে এদিন উত্তরপ্রদেশের লখনউতে ‘রাষ্ট্র প্রেরণা স্থল’-এ বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এদিন বাজপেয়ীকে স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানান।