টেলিগ্রামের মাধ্যমে সেনার গোপন তথ্য পাচার পাকিস্তানে! অসম-অরুণাচলে ধৃত ‘গুপ্তচর’রা

অসম ও অরুণাচল প্রদেশে সক্রিয় এক বিশাল আন্তর্জাতিক গুপ্তচরবৃত্তি নেটওয়ার্কের পর্দাফাঁস করল ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। গত ১০ দিনের রুদ্ধশ্বাস অভিযানে এক প্রাক্তন ভারতীয় বায়ুসেনা কর্মীসহ মোট পাঁচজন সন্দেহভাজন পাক গুপ্তচরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, এই নেটওয়ার্কের সাথে কেবল পাকিস্তান নয়, চীনের যোগসূত্র থাকার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তায় এক নতুন উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

অসমের তেজপুর থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অবসরপ্রাপ্ত বায়ুসেনা কর্মী কুলেন্দ্র শর্মাকে। তিনি তেজপুর বিমান বাহিনী স্টেশনে জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, এনক্রিপ্টেড টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে তিনি সীমান্তের ওপারে সেনার স্পর্শকাতর তথ্য পাঠাতেন। অন্যদিকে, অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম সিয়াং ও চাংলাং থেকে হিলাল আহমেদ ও গুলাম মোহাম্মদ মীর নামে দুই কাশ্মীরি যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ইটানগর থেকেও নাজির আহমেদ মালিক ও সাবির আহমেদ মীর নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

তদন্তকারী সংস্থাগুলি জানিয়েছে, ধৃতরা ‘আল আকসা’ নামক টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতীয় সেনার গতিবিধি এবং প্রতিরক্ষা শিবিরের অবস্থান পাচার করছিল। তাদের ফোন থেকে বিপুল পরিমাণ মুছে ফেলা তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, পাকিস্তান ও চীনের মদতে স্থানীয় স্তরে ‘স্লিপার সেল’ তৈরির চেষ্টা করছিল এই চক্রটি। ১৯ ডিসেম্বর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’-এ মামলা রুজু করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় হাইব্রিড যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে এই গ্রেপ্তারকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।