‘ভারতীয় সম্পত্তি সম্পূর্ণ নিরাপদ’, উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে দিল্লিকে বিশেষ আশ্বাস ঢাকা সেনাপ্রধানের

ভোটের মুখে অশান্তির আগুনে পুড়ছে ওপার বাংলা। একদিকে ভারত ভেঙে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ তৈরির উস্কানিমূলক হুঁশিয়ারি, অন্যদিকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগাতার হামলা—সব মিলিয়ে পদ্মাপাড়ের পরিস্থিতি এখন চরম উদ্বেগজনক। এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদিকে ফোন করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকির আবহে এই ফোনালাপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
নিউজ ১৮-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কথোপকথনে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান স্পষ্ট আশ্বাস দিয়েছেন যে, বাংলাদেশে থাকা সমস্ত ভারতীয় সম্পত্তি সম্পূর্ণ নিরাপদ। তিনি জানান, যেকোনো উপায়ে ভারতীয় স্বার্থ রক্ষা করা হবে। তবে আন্তর্জাতিক স্তরে এই আশ্বাসের ছবি মিললেও, বাস্তব চিত্রটি ভয়াবহ। গত তিন দিনে ঢাকা সহ একাধিক জায়গায় উগ্রপন্থীদের তাণ্ডবে ধুলোয় মিশেছে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘ছায়ানট’। রেহাই পায়নি সংবাদমাধ্যমের অফিসও।
সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহে। দীপু চন্দ্র দাসের হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই গোবিন্দ বিশ্বাস নামে এক হিন্দু রিক্সাচালককে নির্মমভাবে পিটিয়েছে জামাতে-ইসলামির উগ্রপন্থীরা। অভিযোগ, গোবিন্দর হাতে লাল সুতো দেখেই তাকে চিহ্নিত করে হামলা চালানো হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। একদিকে সেনাপ্রধানের কূটনৈতিক আশ্বাস, অন্যদিকে রাজপথে সংখ্যালঘুর রক্ত—এই দুই বিপরীত মেরুর টানাপোড়েনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত নয়াদিল্লি।