অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান! তুষারশুভ্র চাদরে ঢাকল কাশ্মীর, ‘চিলাই-কালান’ শুরু হতেই খুশির হাওয়া উপত্যকায়

দীর্ঘ দুই মাসের হাহাকার কাটিয়ে অবশেষে তুষারস্নাত ভূস্বর্গ। কাশ্মীরের হাড়কাঁপানো ‘চিলাই-কালান’ শুরু হতেই মরশুমের প্রথম তুষারপাত দেখল উপত্যকাবাসী। শনিবার রাত থেকে গুরেজ, সোনমার্গ, সিন্থান টপ এবং জোজিলার মতো উঁচু এলাকাগুলি বরফের সাদা চাদরে ঢেকে গিয়েছে। দীর্ঘদিনের শুষ্ক আবহাওয়া আর ধুলোমাখা বাতাসের পর এই বৃষ্টি ও তুষারপাত উপত্যকায় স্বস্তির নিশ্বাস বয়ে এনেছে।

আবহাওয়া দপ্তর (IMD) জানিয়েছে, রবিবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের উঁচু এলাকাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী তুষারপাত হতে পারে। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই তুষার-বৃষ্টির দাপট বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে শুকিয়ে যাওয়া পাহাড়ি ঝরনা ও হিমবাহগুলি যেমন প্রাণ ফিরে পাবে, তেমনই পর্যটন ব্যবসায় জোয়ার আসবে বলে আশাবাদী স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসনও। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এক পর্যালোচনা বৈঠকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখা এবং দ্রুত রাস্তা পরিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। তুষারপাতের জেরে যাতে পানীয় জলের সংকট না হয়, সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। দুর্গম এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্স ও স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। তুষারপাত কিছুটা ভোগান্তি আনলেও দূষণমুক্ত বাতাস এবং পর্যটনের জন্য এই বরফই এখন কাশ্মীরের পরম প্রাপ্তি।