নিখোঁজের ১২ দিন পর বাড়ির কাছেই মিলল ছাত্রীর পচাগলা দেহ! উত্তর প্রদেশের আম্বেদকর নগরে পুলিশের গাফিলতিতে ক্ষোভ।

নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর রহস্যজনক অবস্থায় উদ্ধার হলো এক ছাত্রীর পচাগলা মৃতদেহ। উত্তর প্রদেশের আম্বেদকর নগর জেলার রাজেসুলতানপুর থানা এলাকার নাসরুদ্দিনপট্টি গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে পুলিশের গাফিলতির দিকে।
ঘটনার প্রেক্ষাপট ও রহস্যময় নিখোঁজ নাসরুদ্দিনপট্টি গ্রামের বাসিন্দা রাধেশ্যামের মেয়ে স্নেহা গত ২রা ডিসেম্বর হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিবার সৌরভ গৌর নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে রাজেসুলতানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ৪ঠা ডিসেম্বর পুলিশ মামলা দায়ের করলেও ছাত্রীর সন্ধানে তেমন কোনো তৎপরতা দেখায়নি বলে অভিযোগ পরিবারের।
বাড়ির কাছেই উদ্ধার মৃতদেহ শনিবার স্নেহার পচাগলা দেহটি তার নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে উদ্ধার হয়। মৃতদেহটি দেখে পুলিশের অনুমান, অন্তত এক সপ্তাহ আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির এত কাছে মৃতদেহ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কেন এতদিন তা খুঁজে পেল না, তা নিয়ে গ্রামবাসী ও পরিবারের সদস্যরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যামদেব এবং সার্কেল অফিসার প্রদীপ চান্দেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গ্রামবাসীদের দাবি:
পুলিশ যদি প্রথম দিন থেকে সক্রিয় হতো, তবে হয়তো স্নেহা বেঁচে যেত।
থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের কর্মপদ্ধতি নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
সৌরভ গৌরের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে দ্রুত গ্রেফতার করা হয়নি?
সার্কেল অফিসার প্রদীপ চান্দেল জানিয়েছেন, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তদন্তের প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের কোনোভাবেই রেয়াত করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে পুলিশের এই আশ্বাস শোকাতুর পরিবারের ক্ষোভ প্রশমিত করতে পারছে না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে পুরো গ্রাম।