“কারও দয়ায় বেঁচে নেই মতুয়ারা!” নাগরিকত্ব নিয়ে তৃণমূলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে এক্স-এ কী লিখলেন মোদী?

ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার মতুয়াগড়ের তাহেরপুরে সশরীরে পৌঁছাতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সভার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকা মতুয়া ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল কিছুটা হতাশা। কিন্তু বঙ্গ সফর সেরে ফেরার পথেই সমাজমাধ্যমে এক জোরালো বার্তার মাধ্যমে তাঁদের মনে নতুন করে আশার আলো জোগালেন প্রধানমন্ত্রী।
তৃণমূলকে তোপ ও সম্মানের অধিকার এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, মতুয়া সমাজ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বা তৃণমূলের দয়ার পাত্র নয়। তিনি লিখেছেন:
“প্রত্যেক মতুয়া ও নমঃশূদ্র পরিবারকে পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছি। তৃণমূলের দয়ায় ওরা বেঁচে নেই। ভারতে সম্মানের সঙ্গে বসবাস করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। তার জন্য নাগরিকত্ব আইনকে (CAA) ধন্যবাদ।”
প্রধানমন্ত্রী আরও একধাপ এগিয়ে বলেন যে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এসে শপথ নিলে মতুয়া ও নমঃশূদ্ররা আরও বেশি সরকারি পরিষেবা ও নাগরিক সুবিধা পাবেন।
তৃণমূলের পাল্টা ‘প্রতিশ্রুতি’র খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তার পরই পালটা আক্রমণ শানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার প্রশ্ন তুলেছেন ২০১৯-এর আইন কেন ২০২৪-এ এসেও ঠিকমতো রূপায়িত হয়নি? তাঁর বক্তব্য:
২০২১ সালের ভোটের আগেও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এত দিনে মাত্র ৮ জনকে নাগরিকত্ব দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
মতুয়ারা আজ কেন নাগরিকত্বের জন্য দরজায় দরজায় ঘুরছেন?
কুয়াশা ও অডিয়ো বার্তার জের এদিন সকালে তাহেরপুরে পৌঁছাতে না পেরে প্রধানমন্ত্রী একটি অডিয়ো বার্তা দিয়েছিলেন। তৃণমূল দাবি করেছিল, সেই অডিয়ো বার্তায় নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করেননি মোদী। তবে বিকেলের এই এক্স হ্যান্ডেল পোস্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আবারও বুঝিয়ে দিলেন যে, মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক এবং সিএএ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির অন্যতম বড় অস্ত্র হতে চলেছে।