রাজ্য সরকারি কর্মীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষা কি তবে আরও বাড়বে? সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার রায় নিয়ে এল বড় আপডেট!

রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীর নজর এখন দিল্লির সুপ্রিম কোর্টের দিকে। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ (Dearness Allowance) মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষ হওয়ার পর কয়েক মাস কেটে গেলেও, রায়দান কবে হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বিশেষ করে বছরের শেষ লগ্নে এসে সরকারি কর্মীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ও জল্পনা তুঙ্গে।

সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান পরিস্থিতি: গত ৮ সেপ্টেম্বর বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের স্পেশাল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শেষ হয়। আদালত রায় ঘোষণা স্থগিত রাখলেও (Verdict Reserved), সাম্প্রতিক ‘কজলিস্ট’ বা কার্য তালিকায় এই মামলার রায়দানের কোনো উল্লেখ নেই।

শীতকালীন ছুটির বাধা: ডিএ মামলার রায় এই সপ্তাহে আসার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তার প্রধান কারণ হলো সুপ্রিম কোর্টের আসন্ন শীতকালীন ছুটি।

ছুটির সময়সূচী: আগামী ২২শে ডিসেম্বর থেকে ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে শীতকালীন ছুটি থাকবে।

আদালত পুনরায় খোলা: ছুটির পর ৩ এবং ৪ তারিখ শনি-রবিবার হওয়ায় আগামী ৫ই জানুয়ারি, ২০২৬ (প্রদত্ত তথ্যানুসারে ২০২৫ পরবর্তী সময়কাল) আদালত পুনরায় নিয়মিত কাজ শুরু করবে।

২০২৫-এ কি রায় সম্ভব? যদি এই সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের মধ্যে রায় ঘোষণা না হয়, তবে চলতি বছরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে কোনো সুখবর পাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত শূন্য। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, জানুয়ারি মাসে আদালত খোলার পর যেকোনো দিন এই ঐতিহাসিক মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে।

মামলার প্রেক্ষাপট: উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্ট আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রের সমান হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্য সরকার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যায়। সুপ্রিম কোর্ট এক অন্তর্বর্তী নির্দেশে রাজ্যকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার কথা বললেও, চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় দিন গুনছেন কর্মীরা।

সম্পাদকের শেষ কথা: ‘হিয়ার্ড অ্যান্ড রিজার্ভড’ অবস্থায় থাকা এই মামলার রায় ঘোষণার দিনক্ষণ সম্পূর্ণ আদালতের ওপর নির্ভর করছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই কি মিটবে ডিএ জট? উত্তর পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে সরকারি কর্মীদের।