দিল্লিতে ঢোকা নিষিদ্ধ ১২ লক্ষ গাড়ির! আজ থেকেই কড়া নিয়ম, পেট্রোল পাম্পেও বসছে হাই-টেক ক্যামেরা

নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে রাজধানীর! গত কয়েকদিন ধরেই দিল্লির বাতাসের মান (AQI) ‘ভয়াবহ’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার নজিরবিহীন কড়া পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কার্যত অবরুদ্ধ দিল্লির সীমানা। শুধুমাত্র BS-VI (BS-6) ইঞ্জিনযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনও ভারী বা হালকা যানবাহনকে রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
১২ লক্ষ গাড়ি বিপাকে: থমকে যেতে পারে যাতায়াত
দিল্লি প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে প্রতিবেশী শহরগুলোর ওপর। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন নয়ডা থেকে প্রায় ৪ লক্ষ, গাজিয়াবাদ থেকে ৫.৫ লক্ষ এবং গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদ মিলিয়ে কয়েক লক্ষ গাড়ি দিল্লিতে ঢোকে। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ গাড়ির চাকা থমকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর ফলে এনসিআর (NCR) এলাকায় যাতায়াতে ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়তে পারেন নিত্যযাত্রীরা।
পাম্পে তেল মিলবে না: বসছে ANPR ক্যামেরা
দূষণ রুখতে এবার প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে সরকার। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা জানিয়েছেন, পেট্রোল পাম্পগুলোতে অটোমেটিক নাম্বার প্লেট রিকগনিশন (ANPR) ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আপনার গাড়ির যদি বৈধ PUC (Pollution Under Control) সার্টিফিকেট না থাকে, তবে ক্যামেরা তা ধরে ফেলবে এবং আপনাকে জ্বালানি দেওয়া হবে না।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নজরদারি
নিয়ম ভাঙলে রেহাই নেই! রাজধানীর রাজপথে নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হয়েছে:
৫৮০ জন বিশেষ প্রশিক্ষিত পুলিশকর্মী।
১২৬টি স্ট্র্যাটেজিক চেকপোস্ট।
৩৭টি এনফোর্সমেন্ট ভ্যান। পরিবহণ দফতর, পুরসভা এবং খাদ্য দফতরের যৌথ দল প্রতিটি পেট্রোল পাম্পে নজরদারি চালাবে।
বিপজ্জনক স্তরে AQI: ঘরে বসে কাজের নির্দেশ
বৃহস্পতিবার ভোরে দিল্লির গড় বায়ু গুণমান সূচক (AQI) ছিল ৩৫৬। তবে আনন্দ বিহারের মতো এলাকায় তা ৪১৫ (Severe) ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ। বাতাসে বিষাক্ত ধোঁয়াশা কমাতে বেসরকারি অফিসগুলোকে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার (Work from Home) পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লির মোট দূষণের ৪০ শতাংশই আসে যানবাহনের ধোঁয়া থেকে, তাই GRAP Stage IV কার্যকর থাকা পর্যন্ত এই কঠোর নিয়ম বহাল থাকবে।