নিউটাউন, নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের ৫ মাস পরও অন্ধকারে নিরাপত্তা, এনকেডিএ-র বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নিউটাউনের লোহা ব্রিজের পাশে এক নাবালিকাকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় গোটা এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছিল। সেই ঘটনার পর অভিযুক্ত টোটো চালককে গ্রেফতার করা হয় এবং নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ) এবং বিধাননগর পুলিশের তরফে টোটো ও অটোচালকদের পরিচয়পত্র যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়। কিছু এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হয়েছিল। তবে, সেই ঘটনার পাঁচ মাস কেটে গেলেও বাগজোলা খাল থেকে কেষ্টপুর খাল পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই পাশ খালের ধারে আগাছার জঙ্গল গজিয়ে উঠেছে, এবং বহু স্থানে বাতিস্তম্ভ বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। যে জায়গায় নৃশংস খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল, সেখানেও একইরকম অবস্থা বিরাজ করছে। যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে মদের গ্লাস ও বোতল, যা থেকে বোঝা যায় যে রাত বাড়লেই সেখানে মদের আসর বসে। পুলিশের নজরদারি এড়িয়েই বহিরাগতদের অবাধ আনাগোনা চলছে। ঘটনার পর পুলিশ একবার এসে চারজনকে তাড়িয়েছিল, কিন্তু এরপর আর কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থানীয়রা দ্রুত জঙ্গল পরিষ্কার এবং নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য এবং নিউটাউনের বাসিন্দা অনুপম ঘোষ এনকেডিএ-র গাফিলতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ঝোপঝাড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব এনকেডিএ-র। আগে এনকেডিএ-কে জানালে কিছু কাজকর্ম হলেও, এখন তা হচ্ছে না।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, নিউটাউনে যেহেতু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই, তাই এই কাজগুলো দেখার দায়িত্ব মূলত সাংসদ, বিধায়ক অথবা পুরসভা থাকলে তাদের প্রতিনিধিদের। বর্তমানে সেই দায়িত্ব এনকেডিএ-এর ওপর বর্তালেও, বারবার ফোন করা সত্ত্বেও কোনো কাজ হচ্ছে না, যার ফলে নিউটাউনের বাসিন্দারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এই ঘটনা আবারও নিউটাউন এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বাড়ছে, এবং তারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।