কথায় বলে সাত কথার পর তবে একটা বিয়ে হয়! সত্যি কথা বলতে, একটা বিয়ে সুন্দরভাবে টিকিয়ে রাখা কিন্তু দস্তুরমতো কঠিন কাজ! প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয় সুখী দাম্পত্য সম্পর্ক পাওয়ার জন্য! আবার তার উপর আত্মীয় আর বন্ধুরা বিনামূল্যে নানারকম পরামর্শ দিয়ে যান! সে সব পরামর্শ যে সব সময় কাজ করে, মোটেই তা নয়, বরং উলটে ব্যাকফায়ারও করতে পারে।
তাই আত্মীয়-বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া সব পরামর্শ মোটেই কানে তোলার দরকার নেই। দেখে নিন কোন কোন পরামর্শ অনায়াসেই উপেক্ষা করতে পারেন আপনি!
‘‘শারীরিক সম্পর্ক না থাকলেও যায় আসে না’’
এ কথা যদি আপনার কোনও আত্মীয় বা বন্ধু আপনাকে বলে থাকেন, তা হলে তাঁর থেকে সাবধান! স্বামীর সঙ্গে আপনার শারীরিক সম্পর্ক যদি তেমন জোরদার না হয়, তা হলে তা ইন্টারেস্টিং করে তোলার জন্য যা যা করা দরকার করুন। তা না হলে সম্পর্কে বিরাট সমস্যা তৈরি হতে পারে। একঘেয়েমি আর আবেগহীনতার কারণে একটা সময়ে এসে নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে সম্পর্কের ভিত্তিটাই!
‘‘পরস্পরের সঙ্গে কাটানো সময়টুকু স্পেশাল করে তোলো’’
এটা আর একটা সমস্যার জায়গা! এর অর্থ যতবার আপনারা একসঙ্গে সময় কাটাবেন, ততবার আপনাকে কিছু না কিছু স্পেশাল করতে হবে! হয় দারুণ একটা রান্না করতে হবে, নয় একটা দুর্ধর্ষ সারপ্রাইজ়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে! ভেবে দেখুন তো, প্রতিবার এরকম কিছু কি করা সম্ভব? এর অর্থ, আপনি কখনওই নিজের মতো করে খোলা মনে সময় কাটাতে পারবেন না, সারাক্ষণই আপনাকে একটা টেনশনে থাকতে হবে! মাঝেমধ্যে স্পেশাল কিছু করতে পারেন, সারাক্ষণ স্পেশালের কথা ভাববেন না। জানেন তো, অতিরিক্ত সারপ্রাইজ়ও একসময়ে একঘেয়ে হয়ে যায়!
‘‘বাচ্চা হলেই সব ঝামেলা মিটে যাবে’’
এর থেকে ভুল কথা আর কিছু নেই! যদি আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্কে বড়ো কোনও সমস্যা থেকে থাকে, তা হলে নিছক সন্তান আসায় কিছুই বদলাবে না। সম্পর্কের জটিলতাগুলো আগে সমাধান করার চেষ্টা করুন। সম্পর্ক ভালো না করেই সন্তানের জন্ম দেওয়াটা খুব কাজের কথা নয়!
‘‘কাউন্সেলরের কাছে গিয়ে লাভ নেই’’
এ কথাটাও সর্বৈব ভুল! একজন পক্ষপাতহীন তৃতীয় ব্যক্তিই আপনাদের সাহায্য করতে পারেন। বিশেষ করে কোনওভাবেই যদি নিজেদের সমস্যা মেটাতে না পারেন, তা হলে দেরি না করে রিলেশনশিপ কাউন্সেলরের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।