বাঙালিরা খাদ্যরসিক হিসেবে সুপরিচিত। তারা নানা ধরণের খাবার খেতে এবং রান্না করতে ভালোবাসেন। প্রতিদিনের একঘেয়ে খাবার ছেড়ে মাঝে মধ্যে একটু স্পেশাল খাবার খেতে ইচ্ছা হয়। এই যেমন সপ্তাহের শেষে যদি মাছ-মাংস ছেড়ে বাড়িতেই কাঁকড়ার ঝাল হয় দুপুরের মেনুতে তাহলে একেবারে জমে যাবে।
কাঁকড়ার ঝাল তৈরির পদ্ধতি:
১. প্রথমে বাজার থেকে কাঁকড়া কিনে আনতে হবে। এখন কেনার সময়েই কাঁকড়ার দাঁড়া ভেঙে পরিষ্কার করে দেয়। যদি না দেয় তাহলে সেগুলোকে এনে পরিষ্কার জলে ধুয়ে দাঁড়া ভেঙে ভেতরের নোংরা অংশগুলো বের করে নিতে হবে। তারপর কাঁকড়া দুটুকরো বা চার টুকরো করে নিতে হবে।
২. এবার একটা কড়ায় তেল গরম করে প্রথমে কাঁকড়ার দাঁড়া গুলো ভেজে নিয়ে আলাদা করে রাখুন।
৩. তারপর কাঁকড়াগুলো কড়ায় দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে ভেজে নিতে হবে। কাঁকড়া ভাজা সময় সাদা হয়ে গেলেই সেগুলোকে নামিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার কড়ায় নতুন করে আবার খানিকটা তেল দিয়ে তাতে রসুন কুচি, আদাবাটা, লঙ্কাবাটা দিয়ে কষে নিন।
৫. কষা হয়ে গেলে মশলার মধ্যেই ভেজে রাখা কাঁকড়াগুলিকে দিয়ে সোয়াসস ও নুন দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। আর সামান্য জল দিয়ে সেদ্ধ হতে দিতে হবে।
৬. কাঁকড়া সেদ্ধ হয়ে গেলে কাঁচালঙ্কা কুচি, পেঁয়াজকলি ও ক্যাপসিকাম কুচি কড়ায় দিয়ে পরিমাণ মত জল দিয়ে রান্না করতে হবে।
৭. মিনিট ১৫ মাঝারি আঁচে রান্না হলেই রেডি কাঁকড়ার ঝাল। শুধু দুপুরের পাতে গরম গরম ভাতের সাথে খাবার অপেক্ষা।
কাঁকড়ার ঝালের টিপস
কাঁকড়ার ঝাল তৈরির জন্য ভালো মানের কাঁকড়া ব্যবহার করুন।
কাঁকড়া ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
কাঁকড়া ভাজার সময় বেশি ভাজবেন না, তাহলে কাঁকড়া শক্ত হয়ে যাবে।
কাঁকড়ার ঝালের মশলা কষিয়ে নিলে ঝালের স্বাদ ভালো হয়।
কাঁচালঙ্কা কুচি বেশি দিতে চাইলে নিজের ইচ্ছামতো পরিমাণ বাড়াতে পারেন।
কাঁকড়ার ঝালের সাথে পরিবেশন
কাঁকড়ার ঝাল গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন। এছাড়াও চাইলে রুটি বা পরোটার সাথেও পরিবেশন করতে পারেন।