IPL: টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে খাদের কিনারে এখন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, আফসোস করছেন রোহিত শর্মা!

আইপিএলের বদলে যাওয়া ফরম্যাটে সাফল্যের বিচারে দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল ১০ দলকে। যার সবচেয়ে সফল দুই দল হিসেবে দুই গ্রুপের প্রথম দুটো দল ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আর চেন্নাই সুপার কিংস। তবে দুই দলেরই শুরুটা রীতিমতো জঘন্যই হয়েছে এবার। শুরুর চার ম্যাচে হেরেছে দুই দলই।

ধোনির চেন্নাই অবশ্য সবশেষ ম্যাচে সে জয়খরা কাটিয়েছে। চেন্নাইয়ের মতো ভাগ্য গড়তে পারেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। জয়ের আশা জাগিয়েও রোহিত শর্মার দল ১২ রানে হেরেছে পাঞ্জাব কিংসের কাছে। টানা পাঁচ ম্যাচ হারের ফলে রীতিমতো খাদের কিনারাতেই চলে গেছে দলটি।

ম্যাচের শুরুতে টসে অবশ্য জিতেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সই। টস জিতে পাঞ্জাবকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে তার এই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে পাঞ্জাব। শুরু থেকেই মুম্বাইয়ের বোলিংকে নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলতে শুরু করেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল এবং শিখর ধাওয়ান। দুজনকে মিলে পাঞ্জাবকে এনে দেন ৯৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৩২ বলে ৫২ রান করে সাজঘরে ফেরেন মায়াঙ্ক।

ধাওয়ান অপর প্রান্তে ছিলেন, তাই পাঞ্জাবের বড় রানের আশাটাও টিকে ছিল বেশ। অপর প্রান্তে জনি বেয়ারস্টো, লিয়াম লিভিংস্টোনরা এরপর তেমন কিছুই করতে পারেননি। তবে ধাওয়ানের ব্যাটে চড়ে পাঞ্জাব ১৫০ ছোঁয় ১৭তম ওভারে গিয়ে। এরপরই ৭০ রান করা ধাওয়ান ফেরেন সাজঘরে। শেষ মুহূর্তে দ্রুত রান তোলেন জিতেশ শর্মা এবং শাহরুখ খান। পাঞ্জাবের উইকেটরক্ষক জিতেশ ১৫ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। শাহরুখ করেন ৬ বলে ১৫ রান। তাতে পাঞ্জাব পায় ১৯৮ রানের বিশাল এক সংগ্রহ।

প্রায় বাঁচা মরার ম্যাচে বিশাল লক্ষ্য ছিল মুম্বাইয়ের সামনে। তবে রোহিতরা ভেঙে পড়েননি মোটেও। ভালো শুরু এনে দিয়ে রোহিত আর ঈশান কিষাণ ফেরেন। এরপর শুরু ডিওয়াল্ড ব্রেভিস ঝড়ের। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন তিলক ভার্মা। দুজনের ৪২ বলে ৮৪ রানের জুটিতে জয়খরা কাটানোর আশা উজ্জ্বলই ছিল দলটির। তবে এরপরই যেন ছন্দপতন হলো দলটির। ২৫ বলে ৪৯ রান করেন ব্রেভিস। ২০ বলে ৩৬ রান করা তিলক রান আউটে কাটা পড়েন এর কিছু পরই। মুম্বাইয়ের দুর্ভাগ্য বাড়িয়ে কাইরন পোলার্ডও ফেরেন একই ঢঙয়ে, রান আউট হয়ে।

এরপরও অবশ্য মুম্বাইয়ের আশা শেষ হয়ে যায়নি। সূর্যকুমার যাদব যে ছিলেন। ৩০ বলে ৪৩ করে চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। তবে কাজ হয়নি শেষমেশ। ইনিংসের ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে কাগিসো রাবাদার বলে ফেরেন তিনি। তাতেই হারটা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় মুম্বাইয়ের। তবু ক্ষীণ আশা যা ছিল, ওডিন স্মিথের শেষ ওভারে শেষ হয়েছে সব। ২২ রান দরকার ছিল, প্রথম বলে জয়দেব উনাদকাত ছক্কা হাঁকিয়ে আশা দেখালেও তিনি বিদায় নেন এক বল পরই। তার পর যশপ্রীত বুমরাহ আর টাইমাল মিলসকেও ফেরান তিনি। শেষ ওভারে নয় রান দিয়ে পাঞ্জাবের ১২ রানের জয় নিশ্চিত করেন। আর মুম্বাই তাতে টানা পাঁচ ম্যাচ হারের বিস্বাদ নেয়। চলে যায় খাদের কিনারে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy