
দল ও সরকার, দুই ক্ষেত্রেই বড়সড় রদবদলের পথে হাঁটতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। রাজধানী দিল্লিতে এই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। চলতি মাসেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদ পরিবর্তন হতে পারে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভাতেও আসতে পারেন একাধিক নতুন মুখ।
দলীয় সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই বিজেপির নতুন সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এর পরপরই মন্ত্রিসভায় রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ, বিজেপির সাংগঠনিক স্তর এবং সরকারে একইসঙ্গে পালাবদলের সম্ভাবনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।
একটি বড় চমক হতে পারে মুসলিম সম্প্রদায় থেকে কোনো নেতার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তি। এখনও পর্যন্ত মোদী সরকারের তৃতীয় মেয়াদে একজনও মুসলিম মন্ত্রী নেই। বিরোধীরা এই নিয়ে বরাবরই সরব। এই পরিস্থিতিতে পসমন্দা মুসলিম সম্প্রদায় থেকে কাউকে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকে প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষত, ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়েছে।
গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আবার, একই দিনে বিজেপির সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন অমিত শাহ ও রাজনাথ সিং। এই পরপর বৈঠকগুলোর জেরে রাজনৈতিক মহলে মন্ত্রিসভা রদবদলের গুঞ্জন আরও জোরদার হয়েছে।
চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা ভোট। সেই দিক মাথায় রেখে মন্ত্রিসভায় এবং সংগঠনে নতুন মুখ আনার ভাবনাচিন্তা চলছে। আলোচনায় রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।
শুধু বিজেপি নয়, শরিক দলগুলোর মধ্য থেকেও কয়েকজনকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের এনডিএ শরিকদের মধ্যে প্রফুল প্যাটেল ও শ্রীকান্ত শিন্ডের নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।
এই এপ্রিল মাসেই বিজেপির দুটি স্তরে—সংগঠন ও সরকার—বড়সড় পালাবদল আসতে চলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লোকসভা ভোটের আগেই দলকে চাঙ্গা রাখতে এবং জাতপাত-ভিত্তিক বার্তা স্পষ্ট করতেই এই রদবদলের পরিকল্পনা। এখন শুধু ঘোষণার দিনের অপেক্ষা।