
দলের প্রয়োজনে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করেছেন। ব্যাটিং অর্ডারে কোনও নির্দিষ্ট জায়গা নেই তাঁর, তবু কোনও অভিযোগ নেই মুখে। টপ অর্ডারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেও, দলের স্বার্থে তিনি মাঠে নামেন লোয়ার মিডল-অর্ডারে। টিম ম্যানেজমেন্ট যে ভূমিকাই দিয়েছে, তিনি তা পালন করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। তবুও বারবার প্রশ্ন ওঠে—লোকেশ রাহুল কি প্রথম একাদশে থাকার যোগ্য?
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের জয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান লোকেশ। শেষমেশ ম্যাক্সওয়েলের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ৩৪ বলে ৪২ রানের এই অপরাজিত ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছক্কা। এই ইনিংস ভারতের জয়ে কতটা জরুরি ছিল, তা বোঝার জন্য কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
তবুও লোকেশ রাহুলের কথায় একটু অভিমানের ছোঁয়া পাওয়া যায়। তিনি বলেন, মানুষ ভুলে যায় তিনি কোন পজিশনে ব্যাট করেন। পাঁচ বা ছয় নম্বরে নেমে বড় রান তোলার সুযোগ খুব কমই মেলে, কিন্তু সেটা অনেকেই বোঝেন না। আসলে ওই পজিশনে ব্যাট করার সময় দল তাঁর কাছে শুধু প্রয়োজনীয় অবদানই আশা করে, আর সেই দায়িত্বই তিনি পান। এটাই বোঝাতে চান রাহুল।
‘মাঝে মাঝে মনে হয়, এর থেকে বেশি আর কী করা যায়!’ স্টার স্পোর্টসে রাহুল বলেন, ‘২০২০ থেকে আমি সম্ভবত পাঁচ নম্বরে ব্যাট করছি। লোকে প্রায়ই ভুলে যায় আমার ব্যাটিং পজিশনটা কী। একটা সিরিজে ভালো খেলি, তারপর কয়েক মাস ওয়ানডে ম্যাচ থাকে না। ৪-৫ মাস পর আবার ফিরলে, লোকে প্রথম একাদশে আমার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আগের সিরিজের কথা ভুলে যায়। মনে হয়, এর চেয়ে বেশি কী করতে পারি! দল যা বলে, আমি তাই করি। গত ৪-৫ বছরে ক্যাপ্টেন রোহিত আমাকে যে দায়িত্বই দিয়েছে, সে জানে আমি তা পুরোপুরি পালন করেছি।’
রাহুল আরও বলেন, ‘আমি সবসময় আমার সামর্থ্য অনুযায়ী দলের চাহিদা পূরণ করেছি। এই কারণেই রোহিত আমাকে সবসময় সমর্থন করে। আমার আত্মবিশ্বাস টিকে থাকে শুধু এই জন্যই—কারণ আমি জানি, ক্যাপ্টেন আমার পাশে আছে।’