বাংলাদেশের বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতিতে, বিজেপি সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার অভিযোগ এনে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা CAA বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলেন, সেই বার্তা দিতে গত কয়েকদিন ধরেই সক্রিয় ছিলেন বাংলা-বিজেপি নেতারা ভট্টাচার্য বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সিএএর উপযোগিতা সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বিজেপি পার বাংলার বর্তমান পরিস্থিতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে পার বাংলায় মেরুকরণের নতুন কৌশল।
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ও পার বাংলায় যে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা আমাদের রক্ত, আমাদের ভাই। আমরা এখানে মুখ বুজে বসে থাকতে পারি না। তাঁদের দিকটা আমাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করতে হবে। যাঁরা ক্যা-ক্যা, ছি-ছি করতেন, এ বার তাঁদের বোঝা উচিত, সিএএ কেন করা হয়েছে।’
শুভেন্দু অধিকারীও বুধবার বলেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, সিএএ কেন দরকার। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত দূরদৃষ্টির পরিচয় দিয়েছে।’ এ দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে যাদবপুরে এইট-বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা।বঙ্গ-
বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘আমরা বারবার দেখছি, বাংলাদেশে কোনও রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হলে ওই দেশের সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হয়। এ বারও তাই হচ্ছে। আমরা সতর্ক আছি। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।’
তৃণমূল কংগ্রেস দলের এক নেতার বক্তব্য, ‘অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমরা নাক গলাতে চাই না। বিজেপি অর্ধসত্য প্রচার করছে। বাংলাদেশের বহু জায়গায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিচ্ছে সংখ্যাগুরুরাই। অথচ বিজেপি নেতাদের মুখে সেটা শোনা যাচ্ছে না।’