কখনও উত্তরবঙ্গকে বঙ্গ ও উত্তর-পূর্বের মধ্যে একীভূত করা, কখনও বৃহত্তর কোচবিহারকে সামনে রেখে আলাদা রাজ্য তৈরি করা, কখনও বিহারের তিনটি জেলার সঙ্গে মালদা, মুর্শিদাবাদকে একীভূত করে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা – গত কয়েকদিনে বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু বিজেপি নেতা, বিধায়ক ও সাংসদদের বিভিন্ন দাবি রয়েছে বাংলাকে বিভক্ত করার যেকোন চেষ্টাই রুখে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী সপ্তাহে রাজ্য বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাবও আনা হচ্ছে। যদিও বঙ্গ-বিজেপি নেতৃত্ব বারবার বলেছে যে তারাও বাঙালি বিভাজনের এজেন্ডার বিরুদ্ধে। যদি তাই হয়, তাহলে কেন তাঁর দল ওই বিজেপি নেতা, বিধায়ক ও সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না এই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাহলে যাঁরা এই দাবি করছেন, বিজেপি কেন তাঁদের শো-কজ় করছে না বা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না? এগুলো সবই ওঁদের (শমীক ভট্টাচার্যদের মতো যাঁরা বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করছেন) মুখের কথা।’ পদ্মের শীর্ষ নেতৃত্বকেও এই ইস্যুতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘সাংসদ-বিধায়কদের দিয়ে না বলিয়ে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার মতো বিজেপির শীর্ষ নেতারা বঙ্গভঙ্গের দাবি করুন না!’
অভিষেকের কথায়, ‘উত্তরবঙ্গকে আমরা বঞ্চনা করেছি বলে একটি রাজনৈতিক হাওয়া তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। তবে আমরা কোনও জেলার মধ্যে বিভাজন করিনি। বড় হোক বা ছোট, আমাদের দল জিতেছে বা হেরেছে— এসব আমরা দেখি না। সব জেলার প্রতি আমরা সমান পদক্ষেপ করেছি। তাই বিজেপির এই হাওয়া তৈরির চেষ্টা কখনই সফল হবে না।’
তাঁর সংযোজন, ‘যে সব জেলায় আমাদের দলের ভালো ফল হয়নি, সেখানেও সমান পরিষেবা দিয়েছে রাজ্য সরকার। ভোটে হারের কারণে আমরা সেই সব এলাকার সঙ্গে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করিনি। আমরা কিন্তু বিজেপি যে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আছে, তার টাকা বন্ধ করিনি। সেটা করলে কী হবে, ওরা ভেবেছে? আমরা এটা করব না। তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না।’