
মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামে এক মর্মান্তিক ঘটনায় সাত বছরের এক শিশু ফুটবল খেলার সময় মাঠে রাখা বোমা ফেটে গুরুতর আহত হয়েছে। আহত শিশুটির নাম সাহিল শেখ। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় মাঠে ফুটবল খেলার সময় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সাহিলকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাহিল ওই দিন বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে ফুটবল খেলছিল। খেলার সময় ফুটবলটি মাঠের এক কোণে পড়ে, যেখানে আগে থেকে একটি বোমা মজুত ছিল। ফুটবলের চাপে বোমাটি ফেটে যায় এবং সাহিল গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে ভরতপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পুলিশ জানিয়েছে, মাঠে বোমা রাখার ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কে বা কারা এই বোমা মাঠে রেখেছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “মাঠে শিশুরা খেলতে আসে। এখানে বোমা রাখার অর্থ হল শিশুদের জীবন নিয়ে খেলা করা। আমরা পুলিশের কাছে আশা করছি, দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।”
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। এদিকে, আহত সাহিলের শারীরিক অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার চিকিৎসা চলছে এবং অবস্থার উন্নতি হলে তাকে বাড়ি পাঠানো হবে।
এই ঘটনা মুর্শিদাবাদের গ্রামীণ এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, গ্রামের মাঠ ও জনবহুল এলাকায় যেন কোনো ধরনের বিপজ্জনক বস্তু না রাখা হয়, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। পুলিশও এই ধরনের ঘটনা এড়াতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের কথা জানিয়েছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের তৎপরতা এখন সকলের নজরে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত তদন্ত শেষে দোষীদের গ্রেফতার করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে, সে জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।