
রথযাত্রা মানেই যেখানে পুরীর অগণিত ভক্ত সমাগম এবং এলাহি উৎসবের ছবি ভেসে ওঠে, সেখানে এই বছর পশ্চিমবঙ্গ তার নিজস্ব রথযাত্রার জাঁকজমক নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে দীঘায়। সম্প্রতি নির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের দরুন এই বছর সৈকত শহর প্রথমবার সাক্ষী হতে চলেছে রথযাত্রা মহোৎসবের, যা ঘিরে ইতিমধ্যেই সাজ সাজ রব। শুক্রবার রথযাত্রা উপলক্ষে আজই দীঘার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই শুক্রবার রথের রশিতে টান দিয়ে এই ঐতিহাসিক রথযাত্রার শুভ সূচনা করবেন।
নবান্ন সূত্রে খবর, দীঘার এই প্রথম রথযাত্রা উৎসবের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজই সেখানে পৌঁছবেন। বিশ্বস্ত সূত্র মারফত জানা গেছে, রথযাত্রার আগের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, তিনি জগন্নাথ মন্দিরের নেত্র উৎসবে যোগ দেবেন। এরপর শুক্রবার তিনি নিজেই রথের রশিতে টান দিয়ে দীঘার রথযাত্রার সূচনা করবেন। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে, মুখ্যমন্ত্রীর উপহার দেওয়া সোনার ঝাঁটা দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে তারপর তিনি রশি টানবেন।
অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ দিনে দীঘায় পুরীর আদলে তৈরি জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়েছিল। এই নতুন মন্দিরকে ঘিরে পর্যটকদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। এবার দীঘায় প্রথমবারের মতো রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি তুঙ্গে। দীঘার নতুন জগন্নাথ মন্দির থেকে পুরনো মন্দির পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে রথ টানা হবে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, শুধুমাত্র অলিম্পিয়ান এবং সাধু-সন্তরাই রথের সামনে থাকতে পারবেন।
দীঘায় প্রথমবার রথযাত্রা হওয়ায় লাখ লাখ ভক্তের সমাগম হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ভিড় নিয়ন্ত্রণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। মন্দিরের চার কোণে চারটি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও, রথ যে রাস্তা দিয়ে যাবে, সেই পুরো পথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, যাতে প্রতিটি গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখা যায়। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে দীঘা এখন প্রস্তুত।