
নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে আজ চাঁদের হাট। সকাল থেকেই তাবড় অতিথিদের সমাগমে মুখরিত বাড়ি। দিলীপ ঘোষের বিয়ে বলে কথা, উৎসব তো হবেই! লাল বেনারসি আর সোনার গয়নায় সেজেছেন কনে রিঙ্কু মজুমদার। পাঞ্জাবি ও মালায় সজ্জিত বর দিলীপ ঘোষও। তবে এই হাইপ্রোফাইল বিয়ের আসরে একজনের অনুপস্থিতি সকলের নজর কেড়েছে। তিনি রিঙ্কু মজুমদারের আগের পক্ষের ছেলে প্রীতম মজুমদার।
বিয়েতে অনুপস্থিতি কেন?
২৫ বছরের প্রীতম সল্টলেকের একটি বেসরকারি আইটি সংস্থায় কাজ করেন। মায়ের বিয়ের দিন তিনি কলকাতার বাইরে। গুড ফ্রাইডে ও এক্সটেন্ডেড উইকএন্ডের ছুটিতে আগে থেকেই বেড়ানোর প্ল্যান ছিল তাঁর। এই সময় অনলাইনকে তিনি জানান, দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কুই তাকে প্ল্যান ক্যানসেল না করতে বলেছিলেন। তাই তিনি বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
মায়ের বিয়ে নিয়ে কী মনে করেন প্রীতম?
প্রশ্ন উঠতে পারে, মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কি তাঁর আপত্তি ছিল? এই সময় অনলাইনকে প্রীতম বলেন, “মায়ের জন্য আমি খুব খুশি। দুজনকে অনেক শুভেচ্ছা। ভবিষ্যতে তাদের জীবন খুব ভালো কাটুক।”
একই মতাদর্শে বিশ্বাসী দম্পতি
প্রীতমের মতে, দিলীপ ঘোষ ও তাঁর মা দুজনেই একই মতাদর্শে বিশ্বাসী, তাই ব্যক্তিগত জীবনেও তারা সুখে থাকবেন। এছাড়া, সামাজিক কাজেও তারা একসঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন। তবে দিলীপ ঘোষের হাত ধরে রাজনীতিতে নামবেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রীতম বলেন, “সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা এখনো নেই। তবে আমি সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে নিঃস্বার্থ সমাজসেবা শেখার সুযোগ পাব, এটাই আমার বড় পাওনা।”
দিলীপ ঘোষকে কী বলে ডাকবেন?
মায়ের বিয়ের পর দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ কেমন হবে? প্রীতমের সরল উত্তর, “মায়ের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে, তাই তাঁকে বাবা বলেই ডাকব। আমাদের বন্ডিং ইতিমধ্যেই খুব ভালো। দীর্ঘদিন ধরে আমরা কথা বলি।”
এই বিয়েতে প্রীতমের অনুপস্থিতি নিয়ে নানা জল্পনা থাকলেও, তাঁর শুভেচ্ছা ও সমর্থনই প্রমাণ করে, পরিবারের নতুন সংযোজনকে তিনি সাদরে গ্রহণ করেছেন।