
নিজের জন্য দামি হেডফোন কেনাটাই সমাধান নয়। যত্ন না পেলে যত নামীদামি ব্র্যান্ডের হেডফোনই আপনি কেনেন না কেন, বিগড়ে যেতে সময় লাগবে না।
পরিচ্ছন্ন রাখুন হেডফোন
হেডফোনের বাইরের অংশে ময়লা জমলে সেটা ক্রমেই ভেতরের অংশেও ঢুকতে করতে পারে। এতে শব্দের গুণগত মান নষ্ট হবে। প্রতিবার ব্যবহারের পর মুছে ফেলুন পুরো হেডফোনটি। চেষ্টা করবেন হেডফোন অন্য কাউকে ব্যবহার করতে না দেওয়ার। তাতে ক্ষতির আশঙ্কা তো থাকেই, পাশাপাশি জীবাণু ছড়ায়।
তার সামলে
হেডফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি তার। এটি ক্ষতির শিকার হয় সহজে। হেডফোন পকেটে রাখবেন না। পকেটে কম জায়গার কারণে তারে চাপ পড়ে। হেডফোন বিপজ্জনকভাবে ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। তাতে হুটহাট টান লেগে তার ছিঁড়ে যেতে পারে। তারে তারে গিট্টু লাগতে দেবেন না। সব সময় ব্যবহারের পর হেডফোন গুছিয়ে রাখুন।
হেডফোন রাখুন কেসে
হেডফোন যত্রতত্র না রেখে নির্দিষ্ট খাপ বা কেসে রাখুন। অনেক হেডফোনের সঙ্গে কেস দিয়ে দেয়। সেটা না থাকলে আপনার হেডফোন রাখার উপযোগী মানানসই কেস কিনে নিন।
তার ধরে নয় প্লাগ ধরে
হেডফোন খোলার সময় তার ধরে টান দেবেন না। তার ও প্লাগের সংযোগের জায়গাটা হেডফোনের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ। তাই প্লাগ ধরে না খুলে তার ধরে টান মারলে এই জায়গাটা ছিঁড়ে যেতে পারে।
জল থেকে দূরে
বৃষ্টির জল, ঘাম বা যেকোনো আর্দ্রতা আপনার হেডফোনের ক্ষতি করতে পারে। তাই হেডফোন আর্দ্রতামুক্ত শুষ্ক আবহাওয়ায় রাখার চেষ্টা করুন। বৃষ্টি বা ঘামের কারণে ক্ষতি এড়াতে জল নিরোধক হেডফোন ব্যবহার করুন।
মাঝারি ভলিউম
শব্দ তৈরি করার সময় হেডফোনের স্পিকারে কম্পন তৈরি হয়। তাই বেশি সময় ধরে উঁচু ভলিউমে হেডফোন চালালে তার শব্দ উৎপাদক অংশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। খুব বেশি বেজ ব্যবহার না করে মাঝারি বা নিচু আওয়াজে হেডফোন ব্যবহারই শ্রেয়।
ঘড়ি ধরে চার্জ দিন
তারহীন হেডফোন সচল রাখতে নিয়ম করে চার্জ দিতে হয়। হেডফোন কখনোই চার্জিং পোর্টে অতিরিক্ত সময় ধরে রাখবেন না। তারহীন হেডফোনে নিয়মিত একটা নির্দিষ্ট সময় চার্জ দিলে এর ব্যাটারি ভালো থাকবে অনেক দিন।