কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি গোটা বিশ্বের আগ্রহ এবং বিভিন্ন শিল্প জুড়ে কোম্পানির তৈরি এআইকেন্দ্রিক চিপের জোরালো চাহিদার কারণে ২০২৪ সালে আর্থিকভাবে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে এনভিডিয়া।
কেবল ২০২৪ সালেই বাজারমূল্য দুই ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে চিপ নির্মাতার। ফলে ২০২৪ সালের শেষে এনভিডিয়ার বাজার মূল্য তিন দশমিক দুই আট ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
এরই মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় মূল্যবান কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে এটি। ২০২৩ সালের শেষে এনভিডিয়ার বাজারমূল্য ছিল এক দশমিক দুই ট্রিলিয়ন ডলার।
এদিকে, বাজার মূল্যের দিক থেকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অ্যাপল। ইতিহাস তৈরি করতে চার ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে মার্কিন টেক জায়ান্টটি।
২০২৪ সালের শেষে তিন দশমিক এক ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার মূল্য নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরেক মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোসফট। এরপরে রয়েছে বহুজাগতিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যালফাবেট ও ই-কর্মাস কোম্পানি অ্যামাজন, কোম্পানিগুলোর প্রত্যেকটির বাজার মূল্য প্রায় দুই দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ডলার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারের উচ্চ মূল্যায়ন, চীন-মার্কিন শুল্ক উত্তেজনা ও যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমে যাওয়ার পরও ২০২৫ সালে বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির টেকসই শক্তিশালী কর্মসক্ষমতা সম্পর্কে তারা আশাবাদী।
২০২৫ সালে বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির বাজার মূল্য ২৫ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আর্থিক পরিষেবা কোম্পানি ‘ওয়েডবুশ’-এর ড্যানিয়েল আইভস।
“আর এ বাজার মূল্য বৃদ্ধির জন্য ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে প্রযুক্তির কোম্পানিগুলোর প্রতি কম নিয়ন্ত্রক পরিবেশ, আসন্ন শক্তিশালী এআই উদ্যোগ, ২০২৫ ও এরপরও বিগ টেক এবং টেসলার জন্য একটি স্থিতিশীল ভিত্তিকে দায়ী করেছেন আইভস।”
“আমরা বিশ্বাস করি, এআই বিপ্লবের কাঁধে চেপে ২০২৫ সালে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বাজার মূল্য বাড়তে থাকবে। পাশাপাশি পরবর্তী তিন বছরে কোম্পানিগুলো এআইতে দুই ট্রিলিয়নের বেশি বিনিয়োগ করবে।”