অফিসিয়াল কিংবা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ পাঠাতে ব্যবহার হয় মেইল। টেক জায়ান্ট গুগলের জি-মেইলও বেশ জনপ্রিয়। ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করতে ও ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো করতে নানা আপডেট নিয়ে আসছে সাইটটি। এবার সিক্রেট এবং কনফিডেন্সিয়াল ই-মেইল সেন্ড ও ওপেন করার সুযোগ দিচ্ছে জি-মেইল।
জি-মেইলের ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করতে পারবেন সিক্রেট মোড। এই সিক্রেট মোডের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ই-মেইল সেন্ড এবং ওপেন করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা গোপনে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মেসেজ এবং অ্যাটাচমেন্টের মাধ্যমে সেন্ড করতে পারবেন। এতে ব্যবহারকারীদের সেনসিটিভ তথ্য আরও সুরক্ষিত থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্যদের কাছে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে খুবই কম।
জি-মেইলের এই সিক্রেট মোড ব্যবহার করা যাবে আইফোন, অ্যান্ড্রয়েড, আইপ্যাড এবং কম্পিউটারে। এছাড়াও ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারেন কনফিডেন্সিয়াল মোড। এক্সপায়ারি ডেট দিয়ে এটি সেট করে রাখতে পারবেন। এর ফলে ব্যবহারকারীদের মেইল করা বিভিন্ন ধরনের তথ্য আরও সুরক্ষিত থাকবে। এমনকি একজনের মেইল যাবে না অন্য কারো কাছে।
ধরুন, কাউকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য মেইল করলেন এবং প্রাপক ভুল করে সেই মেল অন্য কাউকে পাঠিয়ে দিলেন। কিন্তু এই কনফিডেন্সিয়াল মোড অন করা থাকলে, যার কাছে সেই মেসেজ ভুল করে পাঠানো হয়েছে, তিনি তার স্ক্রিনশট এবং ফটো তুলতে পারবেন না।
কনফিডেন্সিয়াল মোড ব্যবহার করতে প্রথমেই জি-মেইল ওপেন করুন। এখান থেকে কম্পোজ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ডানদিকের নিচে থাকা কনফিডেন্সিয়াল মোডের টার্ন অন অপশনে ক্লিক করে দিন।
জি-মেইলে এক্সপায়ারি ডেট এবং পাসকোড সেট করতে পারবেন। এই সেটিং ব্যবহার করা যাবে মেসেজ টেক্সট এবং যে কোনো অ্যাটাচমেন্টে। যদি ব্যবহারকারী ‘নো এসএমএস পাসকোড’ অপশন বেছে নেন, তাহলে যার কাছে পাঠানো হবে তিনি যদি জি-মেইল অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাহলে সরাসরি সেই মেসেজ খুলতে পারবেন। যারা জি-মেইল অ্যাপ ব্যবহার করেন না তদের দিতে হবে পাসকোড।
ব্যবহারকারী যদি ‘এসএমএস পাসকোড’ অপশন বেছে নেন, তাহলে যার কাছে মেসেজ পাঠানো হবে তাকে পাসকোড ব্যবহার করতে হবে। এই ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যাকে মেসেজ পাঠানো হবে তার ফোন নম্বর এন্টার করতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া