রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা সংস্থা। এরই মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতার করে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। অপরাধীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে জনসাধারণকে নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এবার আড়াই হাজার ফেসবুক আইডি হ্যাককারী অপরাধীকে গ্রেফতারের পর চার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
ফেসবুক আইডি হ্যাক প্রতিরোধ এবং প্রতারণা এড়াতে গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরামর্শগুলো হলো-
১. সাইবার স্পেসে অপরিচিত কোনো আইডি থেকে পাঠানো কোনো লিংকে প্রবেশ না করা।
২. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত কোনো আইডির সঙ্গে বন্ধুত্ব না করা।
৩. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যথাযথ সিকিউরিটি সেটিংস ব্যবহার করা।
৪. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো স্পর্শকাতর তথ্য, ছবি বা ভিডিও শেয়ার না করা।
অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক জানান, হ্যাকাররা প্রথমে অনলাইনে ফিশিং লিংক তৈরি করে ছবি ও ভিডিও যুক্ত করে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে। শেয়ার করা লিংকে ইউজার নেইম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার চেষ্টা করা মাত্রই ঐ পাসওয়ার্ড ও ইউজার নেইম হ্যাকারের কাছে চলে যায়। হ্যাকার তখন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে অ্যাকাউন্টটি দ্রুত তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। তারপর নিয়ন্ত্রণে নেয়া আইডির মেসেঞ্জারে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি বা ভিডিও সংগ্রহ করে ডাউনলোড করে তা সংরক্ষণ করে। পরবর্তীতে টার্গেট ব্যক্তিকে মেসেঞ্জারে বার্তা প্রদান করে হ্যাকিংয়ের বিষয়ে অবগত করে টাকা দাবি করে। কেউ টাকা দিতে না চাইলে তার ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়।