এআইয়ের ছোয়া এখন সর্বত্র। যে কাজই করুন না কেন এআইয়ের সাহায্য পেলে তা আরও সহজ ও দ্রুততর হয়ে যায়। তবে এআই আশীর্বাদ হয়ে এসেছে আমাদের জীবনে ততটা অভিশাপও বটে। একের পর এক ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে তারকাদের। যা দিয়ে তারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।
এছাড়া সম্প্রতি শুরু হয়েছে এআই ব্যবহার করে ভয়ংকর প্রতারণা। যে কারও কণ্ঠ নকল করে কাছের মানুষদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে। প্রিয়জনদের গলার আওয়াজ নকল করে ফোন আসতে পারে আপনার কাছেও। বুঝে ওঠার আগেই ফাঁদে পড়ে যাবেন। শুধু তাই নয় এখন হাতের লেখাও নকল করছে এআই।
সম্প্রতি আবু ধাবিতে অবস্থিত মহম্মদ বিন জায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকরা নতুন একটি প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে যা মানুষের লেখা কয়েকটি প্যারাগ্রাফ বা লেখার নমুনা থেকে তার লেখা নকল করতে পারবে। যার জন্য মূলত একটি ট্রান্সফরমার মডেল কাজে লাগিয়েছে তারা। এটি এক ধরনের নিউরাল নেটওয়ার্ক যা কোনো কিছুর প্রসঙ্গ বা কনটেক্সট এবং অর্থ বোঝার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাতের লেখাও নকল করতে শিখে গেল এআই। যার অপব্যবহার শুরু হলে সমাজের জন্য ভয়ংকর। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করা হয়েছে সেটি বিশ্বের প্রথম এআই বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। প্রতিষ্ঠানের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা অনুমোদিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এখনও এই বৈশিষ্ট্য জনসমক্ষে না আনলেও ধাপে ধাপে এই প্রযুক্তি বিকাশের কাজে লেগে পড়েছে তারা। বর্তমানে একাধিক অ্যাডভান্স প্রযুক্তি এবং রোবট রয়েছে যারা মানুষের হাতের লেখা তৈরি করতে পারে। তবে এই প্রযুক্তি সেই লেখার প্রসঙ্গ, অর্থ এবং প্যাটার্ন আরও ভালো ভাবে চিনতে পারবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
আরও দাবি করা হয়েছে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কলম ছাড়াই যে কোনো মানুষের হাতের লেখা হুবহু নামিয়ে দেওয়া যাবে। তবে এটি সর্বসাধারণের হাতে গেলে বড় বিপদ হতে পারে বলে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক।
সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া