
বৈশ্বিক প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফ্টে (Microsoft) আবারও কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই সংস্থাটি ৬ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল। এবার নতুন করে আরও কয়েকশো কর্মী ছাঁটাই করল এই টেক জায়ান্ট। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, খরচ কমানোর লক্ষ্যেই এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া চলছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) খাতে খরচ বাড়ানোর কারণে এই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার তিনশোরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাইক্রোসফ্টের তরফে বলা হয়েছে, সংস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন করা হচ্ছে এবং বদলাতে থাকা বাজারে সংস্থা যাতে সফল হতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
এআই-এর দাপটে বাড়ছে ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা
টেক দুনিয়ায় ক্রমশ বাড়ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দাপট। এআই-এর ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে কর্মীদের ছাঁটাইও বাড়ছে। কর্মীদের তুলনায় ক্রমশ এআই-এর উপরে নির্ভরশীলতা বাড়াচ্ছে সংস্থাগুলো। কর্মীদের খরচ কমাতে এবং অপারেশনাল দক্ষতা বাড়াতে একাধিক সংস্থা এআই-এর উপরে ভরসা করছে।
বারবার ছাঁটাইয়ের প্রবণতা: প্রযুক্তি খাতে অস্থিরতা
মাইক্রোসফ্ট, মেটা (Meta), এক্স (X), গুগলের (Google) মতো একাধিক প্রথম সারির টেক সংস্থা গত কয়েক বছরে বারবার কর্মী ছাঁটাই করেছে। এর আগে মাইক্রোসফ্ট যে বিপুল পরিমাণে কর্মী ছাঁটাই করেছিল, তার জেরে চাকরির বাজারে এক ধরনের কাঁপুনি ধরেছিল। সম্প্রতি যে ৩০০ জনের চাকরি গিয়েছে, তাঁরা ঠিক কোন সেক্টরে কাজ করেন, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু এআই-এর দাপটে আইটি সেক্টরের সব সংস্থাতেই এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে চাকরির বাজারে ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এআই-এর মতো নতুন প্রযুক্তিতে বড় বিনিয়োগ করছে, যার ফলে পুরনো কাজের পদ্ধতি এবং কিছু প্রচলিত ভূমিকার প্রয়োজন কমছে। এটি প্রযুক্তি শিল্পের ভবিষ্যতের এক নতুন প্রবণতা ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং স্বয়ংক্রিয়করণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তবে এর ফলে কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তাও তৈরি হচ্ছে।