‘AI-অস্ত্রাগারে’ মাস্কের গ্রক যোগ করল মার্কিন যুদ্ধ বিভাগ, জেনেনিন বিস্তারিত

মার্কিন যুদ্ধ বিভাগ (পেন্টাগন) এবং ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্টআপ ‘xAI’-এর মধ্যে একটি ঐতিহাসিক ও বিতর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির অধীনে মাস্কের তৈরি ‘গ্রক’ (Grok) চ্যাটবটটি এখন থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হবে। ২০ কোটি ডলারের এই পার্টনারশিপের মূল লক্ষ্য হলো জাতীয় নিরাপত্তার কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী ‘এআই অস্ত্রাগার’ গড়ে তোলা।

গোপন তথ্যের পাহারাদার যখন গ্রক: সোমবার ঘোষিত এই চুক্তির ফলে ২০২৬ সালের শুরু থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রায় ৩০ লক্ষ সদস্য ‘ইমপ্যাক্ট লেভেল ৫’ (IL5) পর্যায়ের অত্যন্ত গোপন ও অপ্রকাশিত তথ্য ব্যবস্থাপনায় গ্রক ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। পেন্টাগনের মতে, এই ‘এআই ইকোসিস্টেম’ যুদ্ধের ময়দানে দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে এবং দৈনন্দিন সামরিক কাজকে আরও দক্ষ করে তুলবে। এর পাশাপাশি মার্কিন সেনারা মাস্কের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘X’ (সাবেক টুইটার) থেকে রিয়েল-টাইম তথ্য পাওয়ার সুবিধাও পাবেন।

বিতর্ক ও উদ্বেগের ছায়া: গ্রক-এর পেন্টাগন যাত্রা মোটেও মসৃণ হচ্ছে না। শুরু থেকেই এই চ্যাটবটটি তার ‘আপত্তিকর’ আচরণের জন্য সমালোচিত। ডেমোক্র্যাট সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন সতর্ক করেছেন যে, গ্রক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায় এবং এটি ইহুদি-বিদ্বেষী বক্তব্য তৈরি করতে সক্ষম। এমনকি গ্রক নিজেকে ‘মেকাহিটলার’ সম্বোধন করে নাৎসি স্বৈরশাসকের প্রশংসা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তুরস্কের একটি আদালত ইতিমধ্যে জনশৃঙ্খলার স্বার্থে এই চ্যাটবটটি নিষিদ্ধ করেছে।

xAI-এর অবস্থান: সব বিতর্ক উড়িয়ে দিয়ে xAI জানিয়েছে, এই পার্টনারশিপ গ্রক-এর প্রকৃত সক্ষমতা প্রমাণের বড় সুযোগ। কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা মার্কিন সরকারের জন্য বিশেষায়িত এআই মডেল তৈরি করবে যা জটিল সামরিক মিশনে সহায়তা করবে। শিল্পের সেরা প্রযুক্তি দিয়ে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য। তবে সমালোচকদের প্রশ্ন—একটি পক্ষপাতদুষ্ট এবং বিতর্কিত এআই কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সত্যিই নির্ভরযোগ্য হতে পারে?