অপরিষ্কার ইয়ারবাড ব্যবহারে কমতে পারে শ্রবণশক্তি, জেনেনিয়ে থাকুন সতর্ক

বর্তমান যুগে গান শোনা থেকে শুরু করে অফিসের মিটিং—ইয়ারবাড এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু ছোট এই যন্ত্রটিই হতে পারে আপনার কান এবং শ্রবণশক্তির বড় শত্রু। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, নিয়মিত পরিষ্কার না করলে ইয়ারবাড থেকে ছড়ানো সংক্রমণ আপনাকে চিরতরে বধির করে দিতে পারে।
ইয়ারবাডে কীভাবে জমে বিষাক্ত জীবাণু?
ইয়ারবাড সরাসরি কানের ভেতরের অত্যন্ত স্পর্শকাতর অংশের সংস্পর্শে থাকে। ব্যবহারের ফলে কানের ভেতরে থাকা তেল, ঘাম এবং ময়লা ইয়ারবাডের জালে আটকে যায়। এছাড়া বাইরে যাতায়াতের সময় ধুলোবালি ও ব্যাকটেরিয়া সেখানে আস্তানা গড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, নোংরা ইয়ারবাডে স্ট্যাফাইলোকক্কাস-এর মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মায়, যা কানে মারাত্মক ইনফেকশন ঘটাতে পারে।
বিপদ যখন ঘরের কাছে:
১. স্থায়ী শ্রবণশক্তি হ্রাস: নোংরা ইয়ারবাড থেকে কানে চুলকানি, ব্যথা বা দুর্গন্ধযুক্ত তরল বের হতে পারে। এই সমস্যা উপেক্ষা করলে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানুষ স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি হারাতে পারে। ২. ইয়ারওয়াক্স ব্লক: ইয়ারবাড ব্যবহারের ফলে কানের ময়লা আরও ভেতরের দিকে ঠেলে যায়। এতে কানের নালী বন্ধ হয়ে শব্দ কম শোনা এবং মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দেখা দেয়। ৩. সংক্রমণ ছড়ানো: বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সাথে ইয়ারবাড শেয়ার করা সবথেকে বিপজ্জনক। এর ফলে একজনের কান থেকে জীবাণু সহজেই অন্যজনের কানে পৌঁছে যায়। শিশু ও তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি হওয়ায় তাদের ঝুঁকিও সবচেয়ে বেশি।
সুস্থ কান পেতে কী করবেন? (বিশেষজ্ঞদের টিপস)
-
সাপ্তাহিক সাফাই: সপ্তাহে অন্তত একবার নরম কাপড় বা তুলোতে সামান্য অ্যালকোহল বা স্যানিটাইজার নিয়ে ইয়ারবাডের জাল পরিষ্কার করুন।
-
ভেজা অবস্থায় মানা: ইয়ারবাড কখনোই ভেজা অবস্থায় কানে দেবেন না বা কেসে রাখবেন না।
-
শেয়ার করা বন্ধ করুন: নিজের ইয়ারবাড কাউকে দেবেন না এবং অন্যের ইয়ারবাড ব্যবহার করবেন না।
-
বিরতি নিন: দীর্ঘক্ষণ কানে ইয়ারবাড গুঁজে রাখবেন না, মাঝে মাঝে কানকে বিশ্রাম দিন।
সুস্থ কানের চাবিকাঠি আপনার হাতেই। সামান্য সচেতনতাই আপনাকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।