WhatsApp-এ আসছে থার্ড–পার্টি চ্যাট সুবিধা, জেনেনিন এর ব্যবহার কি?

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট (DMA)-এর বাধ্যবাধকতা মেনে হোয়াটসঅ্যাপ ইউরোপীয় ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে। মেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, খুব শিগগিরই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপে যুক্ত হচ্ছে থার্ড–পার্টি চ্যাট ইন্টিগ্রেশন। এর অর্থ হলো, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন অন্য মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সঙ্গেও সরাসরি কথোপকথন করতে পারবেন।

কেন এই পরিবর্তন?

ডিএমএ-এর নিয়ম অনুযায়ী, গুগল, মেটার মতো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্ল্যাটফর্ম অন্যান্য সেবার সঙ্গে ইন্টারঅপারেবল করে তুলতে হবে। যাতে ব্যবহারকারীরা এক অ্যাপ থেকে অন্য অ্যাপে নির্বিঘ্নে বার্তা আদান-প্রদান করতে পারেন।

প্রথম ধাপে কারা যুক্ত হচ্ছে?

মেটা জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরে ছোট পরিসরে এই ফিচারটির পরীক্ষামূলক পর্ব চলার পর এবার বৃহত্তর পরিসরে এটি উন্মুক্ত করার প্রস্তুতি চলছে। প্রথম ধাপে BirdyChatHaiket নামের দুটি মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হবে। ফলে ইউরোপের ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপগুলোর বন্ধুদের সঙ্গে সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই বার্তা আদান-প্রদান করতে পারবেন।

  • শেয়ার করা যাবে: টেক্সট, ছবি, ভিডিও, ভয়েস মেসেজ ও ফাইল।

  • গ্রুপ চ্যাট: থার্ড–পার্টি ব্যবহারকারীদের নিয়ে গ্রুপ চ্যাট তৈরির সুবিধা কিছুটা পরে চালু হবে, যখন অংশীদার অ্যাপগুলো প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত হবে।

ফিচারটি কীভাবে চালু করবেন?

মেটা জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইউরোপ অঞ্চলের ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপের “সেটিংস”-এ একটি নোটিফিকেশন পাবেন। সেই নোটিফিকেশনে থার্ড–পার্টি চ্যাট চালু করার প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা থাকবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে এই ফিচারটি পরে বন্ধও করতে পারবেন।

নিরাপত্তা ও সীমাবদ্ধতা:

  • এনক্রিপশন: নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মেটা জানিয়েছে, যেকোনো থার্ড–পার্টি অ্যাপকে হোয়াটসঅ্যাপের সমতুল্য এন্ড–টু–এন্ড এনক্রিপশন মানতে হবে।

  • স্বচ্ছতা: ব্যবহারকারীরা যাতে স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন কোন বার্তা হোয়াটসঅ্যাপের অভ্যন্তরীণ চ্যাট এবং কোনটি থার্ড–পার্টি থেকে এসেছে, সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

  • সীমাবদ্ধতা: বর্তমানে এই ইন্টিগ্রেশন শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইসে কাজ করবে। ডেস্কটপ, ওয়েব বা ট্যাবলেট সংস্করণে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না।

নতুন এই ফিচারটি প্রযুক্তি বিশ্বে ডিএমএ মেনে চলা পরিবর্তনের একটি বড় উদাহরণ। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আরও উন্মুক্ত ও সুবিধাজনক যোগাযোগ অভিজ্ঞতা পাবেন।