হোয়াটসঅ্যাপেই মেসেজ ট্রান্সলেট করা যাবে, যুক্ত হলো নতুন ফিচার

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম WhatsApp এবার ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ে এলো এক বৈপ্লবিক ফিচার। এখন থেকে ব্যবহারকারীরা রিয়েল-টাইমে (Real-time) যেকোনো ভাষার টেক্সট মেসেজ সরাসরি অ্যাপের মধ্যেই অনুবাদ করে নিতে পারবেন। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন আরও সহজ হয়ে যাবে।
অনেক সময়ই গ্রাহকরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ পান— যেমন বিমা সংস্থা, ব্যাংক বা বিদেশি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে। অন্য ভাষার কারণে সেই বার্তাগুলি বুঝতে সমস্যা হয়। এই সমস্যা দূর করতে, Meta মালিকানাধীন WhatsApp, অ্যান্ড্রয়েড এবং iOS প্ল্যাটফর্মে ‘মেসেজ ট্রান্সলেশন’ ফিচারটি চালু করতে শুরু করেছে। এই নতুন আপডেট ব্যবহারকারী এবং প্রাপকের মধ্যেকার ভাষাগত ব্যবধান (Language Barrier) কমিয়ে আনবে।
ফিচারটি কীভাবে কাজ করবে এবং সুবিধা কী?
এই নতুন সুবিধাটি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা বজায় রেখেই কাজ করবে। WhatsApp-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনুবাদ প্রক্রিয়াটি ব্যবহারকারীর ডিভাইসেই স্থানীয়ভাবে প্রসেস হবে, যা এন্ড-টু-এন্ড সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি নিশ্চিত করবে।
১. খুব সহজ পদ্ধতি: আপনার WhatsApp-এ কোনো মেসেজ আসার পর, সেই মেসেজটির উপর একটুক্ষণ চেপে ধরে (Long Press) থাকুন। ২. ট্রান্সলেশন অপশন: এবার পপ-আপ মেনুতে আপনি ‘ট্রান্সলেশন’ (Translation) অপশনটি দেখতে পাবেন। এই অপশন ট্যাপ করলেই বার্তাটি অনুবাদ হয়ে যাবে। ৩. ভাষা নির্বাচন: ব্যবহারকারী তার পছন্দ অনুযায়ী অনুবাদের ভাষা বেছে নিতে এবং ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন, যাতে ভবিষ্যতে সেই ভাষায় দ্রুত অনুবাদ করা যায়।
অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা
শুরুর দিকে ফিচারটি ভিন্ন ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভিন্ন সংখ্যক ভাষা সমর্থন করছে:
- অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী: আপাতত প্রাথমিকভাবে ৬টি ভাষা (ইংরেজি, স্প্যানিশ, হিন্দি, পর্তুগিজ, রাশিয়ান এবং আরবি) অনুবাদ করার সুবিধা পাবেন।
- আইফোন ব্যবহারকারী (iOS): আইফোন ব্যবহারকারীরা অবশ্য ১৯টিরও বেশি ভাষায় বার্তা অনুবাদের সুবিধা পাবেন।
মেটা আরও জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা চাইলে পুরো চ্যাট থ্রেডের জন্য ‘স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ’ (Automatic Translation) চালু করে রাখতে পারবেন। এর ফলে সেই চ্যাটে আসা ভবিষ্যতের সব বার্তাই আপনাআপনি অনুবাদ হয়ে যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে ১৮০টিরও বেশি দেশে ৩ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছে। এই নতুন ফিচারটি বিশ্বজুড়ে ব্যবহারকারীদের একে অপরের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করতে সাহায্য করবে বলেই সংস্থার পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।