আইফোন ১৭ কি অ্যাপলের বড় ভুল? পুরোনো প্রযুক্তি, কম দামে বিক্রি, নেপথ্যে রহস্য কী?

অ্যাপল, একটি মেধাবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত। কিন্তু সম্প্রতি আইফোন ১৭ সিরিজের উন্মোচন দেখে অনেকেই হতবাক। আইফোন ১৭, ১৭ প্রো, ১৭ প্রো ম্যাক্স এবং আইফোন এয়ার নামের চারটি মডেল বাজারে এনেছে অ্যাপল। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো, আইফোন ১৬-এর ২৫৬ জিবি ভার্সনের দাম ৮৯৯ ডলার থাকলেও নতুন আইফোন ১৭-এর একই ভার্সনের দাম ৭৯৯ ডলার থেকে শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, অ্যাপল কি বেশি দামি ফোনের বিক্রি কমিয়ে দিচ্ছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি অ্যাপলের বোকামো নয়, বরং একটি সুচিন্তিত ব্যবসায়িক কৌশল।
নতুন আইফোন ১৭-এ কিছু আকর্ষণীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট দেওয়া হয়েছে, যা গ্রাহকরা অনেক দিন ধরে দাবি করছিলেন। এটি আইফোন ১৪, ১৫ এবং ১৬-এর ৬০ হার্জ রিফ্রেশ রেট থেকে একটি বড় পরিবর্তন। নতুন ফোনে বায়নিক এ নাইন চিপ, আপগ্রেডেড ১২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা, দ্রুত চার্জিং এবং ২৫৬ জিবি স্টোরেজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, আইফোন ১৭-এর আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স ১২ থেকে ৪৮ মেগাপিক্সেলে আপগ্রেড করা হয়েছে।
অ্যাপলের এই কৌশলগত পরিবর্তনের কারণ হলো প্রিমিয়াম ফোনের বাজারে তাদের চাহিদা কমে যাওয়া। স্যামসাং এবং গুগল পিক্সেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অ্যাপল পিছিয়ে পড়ছে। তাই প্রো মডেলগুলোর বদলে আইফোন ১৭-এর মতো অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী মডেলের বিক্রি বাড়াতে চাইছে তারা। আইফোন ১৭ একটি নিখুঁত ফোন হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে। ডিসপ্লে ব্রাইটনেস বাড়ানো হয়েছে এবং আকার এখন ৬.৩ ইঞ্চি। খরচ কমাতে অ্যালুমিনিয়াম বডি ব্যবহার করা হয়েছে, যা ভাঙার ঝুঁকি কমিয়ে দিয়েছে। তবে ইউএসবি ২.০ পোর্টের মতো পুরোনো প্রযুক্তির ব্যবহার এবং আইফোন এয়ারের মতো দুর্বল ব্যাটারির মডেল আনা অনেককেই হতাশ করেছে।